মূল্যস্ফীতির কারণে চড়া দামে নিত্যপণ্য কিনতে হিমশিম খাচ্ছে দেশের সাধারণ মানুষ। অর্থনৈতিক সঙ্কট সৃষ্টির পেছনেও হাত রয়েছে এটার। এ সঙ্কট কাটিয়ে ওঠতে খুব জরুরি মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ। তাই মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে নেওয়া হয়েছে নতুন উদ্যোগ। এ নিয়ে দেশের অর্থনীতি সংক্রান্ত বিভিন্ন সেক্টর তথা অর্থনীতিবিদ, ব্যাংকার ও সাংবাদিকদের সঙ্গে আলোচনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
আলোচনায় আসা পরামর্শ কাজে লাগিয়ে মূল্যস্ফীতির লাগাম টেনে ধরতে চায় ব্যাংকটি। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করার দায়টা মূলত এ ব্যাংকের। সঙ্কট, আলোচনার সিদ্ধান্ত ও পরামর্শ নিয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগের কথা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল।
বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদর সঙ্গে এ বিষয়ে বৈঠক করেন আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থার গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার। বৈঠক শেষে বিষয়টি জানান মুখপাত্র।
মুখপাত্র মেজবাউল জানান, আলোচনায় আসা পরামর্শ অনুযায়ী আগামী মুদ্রানীতি প্রণয়ন করা হবে। উন্নত দেশগুলোতে মূল্যস্ফীতি এবং সুদের হার বেড়ে যাওয়ার মাশুল গুনছে আমাদের দেশ। তবে বৈশ্বিক সংকটের মধ্যে অন্যান্য দেশের তুলনায় আমরা ভালোভাবে নিয়ন্ত্রণে রেখেছি।
বৈঠকে আসা পরামর্শ প্রসঙ্গে মুখপাত্র বলেন, বর্তমান মুদ্রানীতির যথাযথ বাস্তবায়নের পাশাপাশি নতুন টাকা ছাপিয়ে সরকারকে ঋণ না দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ।
মেজবাউল জানান- আমদানি নিয়ন্ত্রণ, রফতানি বৃদ্ধি ও রেমিট্যান্স সংগ্রহ বৃদ্ধি করার উদ্যোগ নিয়ে সংকট মোকাবিলার চেষ্টা করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে আরও অর্থনীতিবিদ, ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম, চেম্বার অব কমার্স এবং অর্থনৈতিক খাতের বিভিন্ন ব্যক্তিদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা পর্যায়ক্রমে চলতে থাকবে।
প্রসঙ্গত, গেল আগস্ট মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৯২ শতাংশে। খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার উঠেছিল ১২ দশমিক ৫৪ শতাংশে। অবশ্য তার আগের দুই মাস জুন ও জুলাই মূল্যস্ফীতি সামান্য কমেছিল।
বিডি/ই/এমকে