বিচ্ছেদ হয়ে গেছে ঢাকাই সিনেমার আলোচিত নায়িকা পরীমণি ও তার স্বামী শরীফুল রাজের। ওই ডিভোর্স পেপারে পরী রাজের বিরুদ্ধে ৫ কারণ উল্লেখ করেছেন। তবে এ সব দোষ মানতে নারাজ রাজ।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর (সোমবার) রাজকে পাঠানো পরীর ডিভোর্স লেটারে উল্লেখ করা রাজের ৫টি দোষ গুলো হলো-
দু’জনের মনের অমিল, স্ত্রী ও সন্তানের কোনো খোঁজখবর না নেওয়া, মতের অমিল হওয়ায় সংসারে বনিবনা না হওয়া, মানসিক অশান্তির সৃষ্টি ও অন্য নারীদের প্রতি রাজের আসক্তি।
তবে সংবাদমাধ্যমে আগেই রাজ জানিয়েছিলেন যে, ডিভোর্সের ব্যাপারে তিনি কিছুই জানেন না। ঘুম থেকে উঠে সংবাদমাধ্যম থেকেই নাকি তিনি জেনেছেন।
এবার ওই ডিভোর্স প্রসঙ্গে রাজ বলেন, পরী আমাকে ডিভোর্স দেয়ার জন্য যে ৫ কারণ দেখিয়েছে তার সবই মিথ্যা। আমাকে ডিভোর্স দিলে আমার এখানে কিছু বলার নেই। তবে আমার নামে এ মিথ্যাচার কেন?
সংবাদমাধ্যমে রাজ আরও বলেন, আমারও বাবা, মা, আত্মীয় স্বজন, পাড়া প্রতিবেশী আছেন। তারা কী ভাববে? একটা কথা স্পষ্ট বলতে চাই আমি। আর তাহলো বিয়ের পর আমি আমার স্ত্রী আর সন্তানকে ছাড়া অন্যকিছু কখনও ভাবিনি।
কারণ হিসেবে এসময় রাজ যুক্তি দেখান, আমি যখন ১ বছর সবকিছু থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রেখেছিলাম তখনও শুধু স্ত্রী আর সন্তানের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিলাম। তাই পরীর এমন সব প্রশ্নবিদ্ধ কারণ কিংবা মিথ্যাচার আমার বিরুদ্ধে করার কোনো সুযোগ নেই।
এরপরই রাজ জানান, পরী যা চায় তা আমি বরাবরাই শ্রদ্ধা করি। তাই তার ডিভোর্সের সিদ্ধান্ততে আমার দ্বিমত নেই। তবে অকারণে আমার নামে পরী ভিত্তিহীন অভিযোগ করলে আমি সেটাকে প্রশ্রয় দেব না।