একাধিক পুষ্টিগুণে ভরপুর ডিম হলো একটি সুপারফুড। পুষ্টির চাহিদা পূরণ করতে পুষ্টিবিদরা নিয়মিতই তা খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। তবে অনেকের মনে প্রশ্ন আসে নিয়মিত খাওয়ার জন্য কোন ডিমটি বেশি পুষ্টিকর, হাঁস নাকি মুরগির ডিম?
ডিমে রয়েছে ভিটামিন, খনিজ, প্রোটিন, ফ্যাট, ক্যারোটিনয়েডস, লিউটিন, জিয়াজ্যান্থিন। তাই শিশু থেকে শুরু করে বয়স্ক সবার জন্য ডিম অতি পুষ্টিকর একটি খাবার।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মুরগির ডিম না কিনে হাঁসের ডিম খাওয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ। কারণ, মুরগির ডিমের তুলনায় হাঁসের ডিম প্রাকৃতিকভাবেই আকারে বড় হয়। আকারে বড় হওয়ায় হাঁসের ডিমের কুসুমও বড় থাকে।
অনেকে ভাবেন, হাঁসের ডিম খেলে কোলেস্টেরল বেড়ে যাওয়ার প্রবণতা বেশি। এ ধারণা কিন্তু একেবারেই ভুল ধারণা। বিশ্বখ্যাত পুষ্টিবিদ মিহো হ্যাটানাকা বলেছেন, ২টি হাঁসের ডিমের সমান ৩টি মুরগির ডিম।
তাছাড়া হাঁসের ডিমে সাদা অংশ অর্থাৎ অ্যালবুমিনের পরিমাণও বেশি থাকে। ফ্যাট, ওমেগা থ্রি, প্রোটিনের পরিমাণও হাঁসের ডিমেই বেশি। অর্থাৎ হাঁসের ডিম আকারে বড় হওয়ায় এর পুষ্টি গুণ মুরগির ডিমের তুলনায় বেশি।
নিয়মিত হাঁসের ডিম খেলে রক্তে নতুন ব্লাড সেল তৈরি হয়। এটি ডিএনএ সিন্থেসিস এবং সুস্থ স্নায়ুতন্ত্রের গঠনেও সাহায্য করে। হাঁসের ডিম ক্যানসার হওয়ার আশঙ্কা কমাতে পারে।
সমীক্ষায় দেখা গেছে, চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে, ত্বকের উজ্জ্বলতা ও রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে, পেশি মজবুত করতে এমনকি দ্রুত প্রেশার বাড়াতে হাঁসের ডিম একটি আদর্শ খাবার হিসেবে কাজ করে।
ব্যক্তিভেদে ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করুন পুষ্টিকর হাঁসের ডিম।
সূত্র: নিউজ ১৮