এশিয়ান গেমসে পাকিস্তানি নারীদের হারিয়ে ব্রোঞ্জ পদক জয় করল বাংলাদেশের
নারীরা। তবে এবার স্বর্ণ জয়ের লক্ষ্য ছিল নারীদের। তবে সে লক্ষ্য পূরণ হয়নি। ২০১৮ সালে
জাকার্তায় অনুষ্ঠিত এশিয়াডে পদকহীন ছিল বাংলাদেশ। এবার অন্তত খালি হাতে ফিরতে হলো না
টাইগ্রেসদের।
সোমবার সকালে চীনের ঝেজিয়াং ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি ক্রিকেট ফিল্ডেপাকিস্তানকে
৫ উইকেটে হারিয়েছে নিগার সুলতানার দল। প্রথমে ব্যাট করে পাকিস্তানের মেয়েরা করে ৯ উইকেটে
৬৪ রান। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১০ বল হাতে রেখে জয় নিশ্চিত বাংলাদেশের মেয়েরা।
তৃতীয় স্থান নির্ধারনী লড়াইয়ে ভুল করেননি বাংলাদেশ অধিনায়ক। টসে জিতে পাকিস্তানকে
ব্যাটিংয়ে পাঠান। স্বর্না আক্তার আর সানজিদা আক্তার মেঘলার দারুণ বোলিংয়ে ২০ ওভারে
৯ উইকেটে ৬৪ রান সংগ্রহ করে পাকিস্তান। স্বর্না ৩টি এবং সানজিদা নেন ২ উইকেট।
স্লো পিচে এ রানের টার্গেট তাড়া করতে নামা দেখেশুনে শুরু করে বাংলাদেশ।
যদিও দলীয় ৩৪ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারানোর পর কিছুটা চপে পড়ে যায় বাংলাদেশ। বিশেষ করে
বাঁহাতি স্পিনার নাসরা সান্ধুর বলগুলো মোকাবেলা করতে বেশ বেগ পেতে হয় জ্যোতিদের। তবে
পঞ্চম উইকেটে স্বর্না আক্তার এবং রিতু মনি ঠান্ডা মথায় বাকি কাজটি সারেন। ৫ উইকেট হারিয়ে
১৮.২ ওভারে নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌছে যায় মেযেরা। বাংলাদেশের হয়ে শারমিন এবং সাথী সমান
১৩ রান করে করেন। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ১৪ রান করেন স্বর্না আক্তার।
লক্ষ্য তাড়ায় শামিমা আক্তার ও সাথি রানির উদ্বোধনী জুটি থেকে আসে ২৭ রান।
১৬ রানের ব্যবধানে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে গেলেও শেষ পর্যন্ত দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন
স্বর্ণা। বল হাতে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেওয়া স্বর্ণা ব্যাট হাতেও করেন সর্বোচ্চ অপরাজিত
১৪ রান।
এর আগে ২০১৪ সালে এশিয়ান গেমস নারী ক্রিকেটে এই পাকিস্তানের কাছে হেরে বাংলাদেশ
রৌপ্য পদক জিতেছিল। ৯ বছর পর ব্রোঞ্জ জিতল, তাও সেই পাকিস্তানকে হারিয়ে। যদিও মাঝে
এশিয়ান গেমসে ক্রিকেট অন্তর্ভুক্ত ছিল না। ২০১০ সালে নারী ক্রিকেট দল জিতেছিল রৌপ্য।
সেবারও তারা পাকিস্তানের কাছে হেরেছিল।
আরআই