অবিশ্বাস্য মনে হলেও সত্য ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলায় হাসি বেগম (২৬) নামে এক গৃহবধূর লাশ দাফনের ৫ দিন পর তাকে আটক করা হয়েছে।
সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সদরপুর থানা পুলিশ ময়মনসিংহ নান্দাইল এলাকা থেকে তাকে আটক করে। এর আগে গত ৭ সেপ্টেম্বর হাসি বেগম নিখোঁজ হয়।
এদিকে গত ২০ সেপ্টেম্বর ভাঙ্গা উপজেলার আদমপুর নাউটানা এলাকায় কচুরিপানার ভেতর থেকে এক নারীর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। লাশটি হাসি বেগমের বলে শনাক্ত করেন তার মা। এরপর হাসি বেগমের পরিবারের তত্ত্বাবধানে শৌলডুবী কবরস্থানে লাশটি দাফন করা হয়।
হাসি বেগম সদরপুর উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের শৌলডুবী গ্রামের হাবিবুর রহমানের মেয়ে ও একই উপজেলার চরবিষ্ণুপুর ইউনিয়নের বড় বাড়ির মৃত শাহাআলম শেখের ছেলে মোতালেব শেখের স্ত্রী। হুসাইন নামে ৭ বছরের একটি ছেলে রয়েছে এ দম্পতির। ৮ বছর আগে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় তাদের।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ৭ সেপ্টেম্বর হাসি বেগম তার শ্বশুরবাড়ি থেকে বিদ্যুৎ বিল দেওয়ার কথা বলে বের হয়। এরপর নিখোঁজ হয়।
এ ঘটনায় হাসির বাবা গত ১১ সেপ্টেম্বর সদরপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। জিডিতে উল্লেখ করা হয়, হাসি বেগমকে হত্যা করে লাশ গুম করেছে তার স্বামী মোতালেব শেখ (৪৫)।
এর দুই দিন পর ১৪ সেপ্টেম্বর হাসির স্বামী মোতালেব শেখ সদরপুর থানায় পাল্টা একটি অভিযোগ করেন। অভিযোগে উল্লেখ করেন, হাসি বেগম নগদ টাকাসহ প্রায় ১০ লাখ টাকার মালামাল নিয়ে বাবার বাড়িতে পালিয়ে গেছেন।
এমন পরিস্থিতিতে গত ২৩ সেপ্টেম্বর হাসি বেগম তার বাবা- মাকে ফোন দেন। বিষয়টি জানতে পেরে তাকে আটক করে পুলিশ।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. গফফার শিকদার বলেন, এর আগে জানতে পারি নিখোঁজ হওয়ার পর হাসি বেগমের লাশ পাওয়া গেছে। তার পরিবারের লোকজন হাসির লাশও দাফন করেন। হঠাৎ আবার জানতে পারলাম, হাসি বেগম মারা যায়নি।
সদরপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মামুন আল রশিদ বলেন, হাসি বেগম বর্তমানে থানায় আছেন। এখনই এই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানানো সম্ভব নয়।
ওদিকে এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, যে লাশটি দাফন হয়েছে, সেটা কার লাশ ছিল; পরিচয় কী?
বিডি/নাজমুল হাসান নিরব/ সি/এমকে