নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থা নিয়ে দেশে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংকট সৃষ্টি হয়েছে। সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতি সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা অনুযায়ী যথাসময়ে নির্বাচন হতে হবে। সেটা না হলে সাংবিধানিক গ্যাপ (শূন্যতা) তৈরি হবে। সেই গ্যাপ থেকে অরাজকতা পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে।
সংবিধানে বাধ্যবাধকতা থাকার কথা জানানোসহ সাংবিধানিক গ্যাপ তৈরি ও সৃষ্ট গ্যাপ থেকে অরাজকতা পরিস্থিতি সৃষ্টির আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর। মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে এ আশঙ্কা প্রকাশ করেন। রাজধানী ঢাকার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের নিজ দফতরে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন তিনি।
নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, যেভাবেই হোক না কেন আগামী ২৯ জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচন হতে হবে। না হলে সাংবিধানিক গ্যাপ তৈরি হবে, দেশে অরাজকতা পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে। সেটা নির্বাচন কমিশন হতে দিতে পারে না।
নির্বাচন করতে প্রস্তুতির প্রয়োজন হয় উল্লেখ করে মো. আলমগীর বলেন, এ প্রস্তুতি আগে থেকে নিতে হয়। নির্বাচন ডিসেম্বরে না-কি জানুয়ারিতে, সেটা পরের বিষয়। নির্বাচন যখনই হোক না কেন প্রস্তুতি আগে থেকেই রাখতে হবে। ইসি সংবিধান অনুযায়ী, সংবিধানের দোহাই শপথ নিয়েছে। সেই শপথ পূরণ করতে হবে।
নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর জানান, দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংকট আছে। কিন্তু নির্বাচন চায় না- এটা কোনো দল বলছে না। তাহলে কেন নির্বাচনের প্রস্তুতি নেবে না ইসি। নির্বাচনে পরিবেশ যেন সুন্দর করা যায়, তার জন্য চেষ্টা করা হবে। তবে পরিবেশের সবটাই সুন্দর করার দায়িত্ব ইসির না বলেও জানান তিনি।
বিডি/এন/এমকে