ভিসানীতি; আমেরিকাকে চিঠি দেওয়ার পরামর্শ

রবি
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩

বাংলাদেশের বিভিন্ন উন্নয়নের অংশীদারের দাবিদার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু চায়। এ জন্য ভিসা নিষেধাজ্ঞার হুঁশিয়ারি দিয়েছে দেশটি। এদিকে ভিসা নীতি নিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে চিঠি দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি।

 

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গত শুক্রবার থেকে একাধিক বাংলাদেশির ওপর নতুন ভিসা নীতি প্রয়োগ শুরু করেছে আমেরিকা। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞার আওতায় যারা পড়েছেন, তাঁদের মধ্যে আছেন সরকার ও বিরোধী দলীয় রাজনীতিক এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য। বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করার দায়ে এঁদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা থাকবে।

 

অভিযুক্ত ব্যক্তি এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা ভিসা পাবেন না বলে বিবৃতিতে জানানো হয়। এতে বলা হয়, এদের কেউ আমেরিকা প্রবেশ করতে পারবেন না। এমন আরও কাউকে পাওয়া গেলে, তাদের ওপরও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে। ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হতে পারে বাংলাদেশ সরকারের সাবেক সরকারি কর্মকর্তা, বিচার বিভাগের কর্মকর্তা ও নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের ওপরও।

 

এই ভিসা নীতি কার্যকর করার ঘোষণায় নানা মহলে তৈরি হয়েছে অস্বস্তি। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় কমিটির অভিযোগ, জাতীয় নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের এমন পদক্ষেপ বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ। তবে আলোচনার মাধ্যমে এখনও সমস্যা সমাধানের সুযোগ আছে বলে মনে করেন কমিটির সভাপতি ফারুক খান।

 

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি বলেন, ‘পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সুপারিশ করেছে, যখনই এমন কোনো ম্যাটার আসবে, যেটা ক্লারিফাই করা দরকার সেটা ইমিডিয়েটলি ক্লারিফাই করতে হবে। এটার জন্য প্রয়োজনীয় প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিতে হবে। প্রেস নোট দিতে হবে অর্থাৎ সেই দেশকে জানাতে হবে। আরও বেশি প্রয়োজন হলে সেখানে ইমিডিয়েটলি প্রেস ব্রিফিং করতে হবে।’

 

তবে ভিসা নীতির পক্ষে-বিপক্ষে মত রয়েছে বিশ্লেষকদের। কেউ যুক্তি দেখাচ্ছেন, মার্কিন নাগরিকরাই যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপের বিরোধীতা করছে। অন্যদিকে কেউ কেউ মনে করছেন, উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে আগ্রহ থাকতেই পারে।

 

কূটনৈতিক বিশ্লেষক হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘নির্বাচনকে সামনে রেখেই তারা তাদের নীতিমালা সাজাচ্ছে। যারা আমাদের অংশীদার তাদের আগ্রহ থাকাটা খুব স্বাভাবিক।’

 

আরআই


মন্তব্য
জেলার খবর