বিশ্বকাপ খেলার জন্য ১৫ সদস্যের দল দেশ ছেড়েছে। তবে যাওয়া হয়নি দেশসেরা
ওপেনার তামিম ইকবাল খানের। ইনজুরি থেকে ফিরে ভালো স্কোরও গড়েছিলেন। তবে কী কারণে দলে
জায়গা হয়নি তা নিয়ে ছিল ধোয়াশা। ক্রিকেট বোর্ড তামিমকে দলে না রাখা নিয়ে যে ব্যাখা
দিয়েছিলেন, তা মনপূত হয়নি ক্রিকেট ভক্তদের। তবে তামিমের সাথে যা ঘটেছে, তা নিয়ে মুখ
খুললেন তামিম নিজেই।
বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক ভিডিও বার্তার
মাধ্যমে সাম্প্রতিক সময়ে নিজের সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনার বর্ণনা দেন তামিম।
নিজের চোট প্রসঙ্গে তামিম বলেন, ‘অবসরের সিদ্ধান্ত থেকে ফিরে আসার পর আমি
দুইমাস প্রচুর কষ্ট করি। ফিজিও ও মেডিকেল ডিপার্টমেন্টের সদস্যরা যখন যা বলেছে, আমি
তা করার চেষ্টা করেছি। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৪৪ রান করে আমি খুবই
খুশি ছিলাম। আমি এতদিন পর ফিরে বিশ্বকাপ নিয়েই স্বপ্ন দেখছিলাম। প্রথম ম্যাচেও আমি
কিছুটা ব্যথা অনুভব করি। খেলা শেষ হওয়ার পর আমি ফিজিওকে আমার অবস্থা জানাই। এরপর তিন
নির্বাচক ড্রেসিংরুমে আসেন। আমি নির্বাচকদের জানাই আমার শরীরের অবস্থা এখন এমন। আমার
কিছুটা ব্যথা থাকবে, এটা মাথায় রেখে আমাকে সিলেক্ট কইরেন’
ফিজিওর রিপোর্ট প্রসঙ্গে তামিম বলেন, ‘আমার কন্ডিশন সম্পর্কে বলা হয় দুই
ম্যাচের পর কেমন ছিল আমাদের অবস্থা। তবে মেডিকেল ডিপার্টমেন্ট জানায়, তৃতীয় খেলায় আমার
না খেলা উচিত। কারণ তারা আমাকে বিশ্রাম দিতে চায়। যাতে আমি আরও সুস্থ হয়ে বিশ্বকাপে
নামতে পারি।’
বিশ্বকাপে সুযোগ না পাওয়া প্রসঙ্গে তামিম বলেন, ‘আমাকে বোর্ডের একজন শীর্ষ
কর্তা ফোন করে হঠাৎ বললেন, তুমি তো বিশ্বকাপে যাবা, তোমাকে তো ম্যানেজ করে খেলাতে হবে
তুমি প্রথম ম্যাচ খেলো না। আমি বললাম ভাই এখনও কিন্তু ১০-১২ দিন বাকি বিশ্বকাপের, আমি
তো ভালো কন্ডিশনে থাকব, তবে কেন আমি খেলব না। তখন তিনি আমাকে বললেন তাহলে আমরা তোমাকে
নিচের দিকে ব্যাটিং করানোর কথা ভাবছি। আমি বলি আমার তো কোনো অভিজ্ঞতা নেই নিচে ব্যাটিং
করার। আমি কিছুটা উত্তেজিত হয়ে যাই। বলি, ভাই আমি ১৭ বছর ধরে ওপেনিংয়ে খেলছি। প্রতিদিন
একটা নতুন জিনিস ফেস করতে হয়। এই নোংরামির মধ্যে আমি থাকতে চাই না। আপনাদের আমাকে বিশ্বকাপে
পাঠানোর দরকার নেই।’
তামিম আরও বলেন, ‘যদি আমাকে কথাটা অন্যভাবে বলা হতো, হয়তো আমি মেনে নিতাম।
কিন্তু হুট করে কেউ যদি এভাবে ফোন করে বলে, তাহলে স্বাভাবিক নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখা
কঠিন। আমার সাথে গত ৩-৪ মাসে অনেক কিছু হয়েছে, যা ইচ্ছে করেই করা হয়েছে। আমাকে মনে
রাইখেন, এটা বলব দিনশেষে’।
আরআই