তামিম ইস্যুতে উত্তাল বাংলাদেশের ক্রিকেট অঙ্গন। সামাজিক মাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনার
ঝড় চলছে। বিশ্বকাপ দল থেকে বাদ পড়া মেনে নিতে পারছেন না অনেক ক্রিকেট ভক্তই। নিজের
বাদ পড়া নিয়ে কথা বলেছেন তামিম ইকবাল। তবে তামিমের কথাবার্তাকে বাচ্চা সূলভ বলে মন্তব্য
করেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।
তিনি বলেছেন, ‘রোহিত শর্মার মতো একজন লোক সাত নম্বর থেকে এসে ওপেনিংয়ে
খেলছেন। তো ও (তামিম) যদি মাঝে মাঝে তিন-চারে খেলে কিংবা ব্যাট না করে, তাহলে কী খুব
বেশি প্রবলেম হয়ে যাবে। এটা আমার কাছে মনে হয় বাচ্চামি। বিষয়টা এমন যে আমার ব্যাট আমিই
খেলব। আর কেউ খেলতে পারবে না।’
বুধবার দেশের একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে প্রচারিত বিশ্বকাপের দল নিয়ে
সাকিবের একটি সাক্ষাৎকারে এ তথ্য জানা যায়। তামিমের বাদ পড়ার পেছনে তার কোনো ভূমিকা
নেই বলে জানান সাকিব।
এ বিষয়ে সাকিব বলেন, ‘এ বিষয়ে কারও সঙ্গে কোনো আলোচনাই হয় নাই। না বিশেষ
কোনো খেলোয়াড়, না মেডিকেল টিম, না নির্বাচক। অবশ্যই (সিদ্ধান্ত) বোর্ডের। সবার মত থাকে
(অনেক ব্যাপারেই), তবে এ নিয়ে আমার সঙ্গে কথা হয়নি।’
তবে সাকিবের মতে, চোট নিয়ে কারও খেলা উচিত নয়। এ প্রসঙ্গে মহেন্দ্র সিং
ধোনির একটি উক্তি টেনে তিনি বলেন, ‘আমার কথা গুরুত্বপূর্ণ না, আমার সামর্থ্য, এখতিয়ার—এসব নিয়ে অনেকের
সংশয় থাকতে পারে। তবে এম এস ধোনি যেহেতু সব জিতছে, তার ওই নলেজ, সেন্স আছে। তার চেয়ে
বেশি বাংলাদেশের কারও নেই। ধোনি যদি বলে থাকে, ফিট না হলে খেলাটা চিট করে (প্রতারণা)
তার টিমের প্রতি, দেশের প্রতি—আমার মনে হয় মেনে নেওয়া উচিত।’
পুরোপুরি ফিট না হয়েও বিশ্বকাপে খেলতে যাচ্ছেন কেইন উইলিয়ামসন। তবে তামিম
কেন খেলতে পারবেন না! সেই ব্যাখ্যা দিতে কিউই অধিনায়কের উদাহরণই টেনেছেন সাকিব, ‘শুধু
তামিম না, অন্য যেকোনো খেলোয়াড়ের ক্ষেত্রে হলেও একই বলতাম (চোট নিয়ে খেলা উচিত নয়)।
যদি নিশ্চিত না থাকি কে কোনটা খেলবে...উইলিয়ামসনের উদাহরণ দিই, সে দুই ম্যাচ খেলবে
না, কিন্তু এর পর থেকে খেলবে। তাহলে আমার সমস্যা নেই। কিন্তু যদি এমন হয়, সপ্তম ম্যাচে
খেলবে কি না, তিন নম্বর ম্যাচে খেলবে কি না (কেউ)...এবং (সেটা আমি) জানি ম্যাচের দিন
সকালে। মনে করি না এমন খেলোয়াড় আমার দরকার আছে। তবে এ বিষয়ে আমার কোনো আলাপ হয়নি। একটা
জিনিস আমি অবশ্যই শুনেছি, সে বেছে বেছে খেলবে।’
আরআই