একদিকে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নির্বাচন ইস্যুতে মার্কিনি ভিসানীতি ঘোষণা, অন্যদিকে নির্বাচনকালীন সরকার ইস্যূ নিয়ে বিএনপিসহ সমমনা দলের আন্দোলনের সম্ভাব্য ফলাফল নিয়ে আলোচনা চলছে দেশের সর্বত্র। প্রশ্ন দেখা দিয়েছে- নিবন্ধিত সব দলের অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিয়ে, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন না হলে বিশ্ব সমাজে এবারের নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতার বিষয়ে। বেশি আলোচিত হচ্ছে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নির্বাচন সম্পন্নের ক্ষেত্রে বাধাদানে জড়িতদের ক্ষেত্রে নিজেদের ভিসানীতির আওতায় যুক্তরাষ্ট্রের সাংশন আরোপ নিয়ে।
এমন পরিস্থিতিতে স্যাংশনে পরোয়া করছে না সরকার। আর দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নিজেদের ইশতেহার প্রস্তুত করছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। সামনের নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেও মনে করছে তারা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন- কোনো দেশের স্যাংশনে পরোয়া করে না তার সরকার। দেশে বিদ্যমান উন্নয়ন যেন সাসটেইনেবল হয়, সেটা করা হবে। ২০২৬ সাল থেকে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে যাত্রা শুরুর করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলেও জানান বঙ্গবন্ধুকন্যা।
বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের মতবিনিময় সভায় বিষয়টি জানান প্রধানমন্ত্রী। শেখ হাসিনা বলেন, দেশের জনগণ আমার পরিবার। এ পরিবারের জন্য আমি রাতদিন পরিশ্রম করে যাচ্ছি।
দিনবদলের সনদে বাংলাদেশ বদলে গেছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, সামনের দিন আরও বদলাবে। আমরা এখন স্মার্ট বাংলাদেশে যাওয়ার প্রস্তুতি শুরু করেছি, এজন্য কমিটি গঠন করা হয়েছে। নির্বাচনী ইশতেহার প্রস্তুত করা হচ্ছে। আগামীতে বাংলাদেশ হবে স্মার্ট বাংলাদেশ। এর আগে ডিজিটাল বাংলাদেশ করার কথা দিয়েছিলাম, সেটা করেছি বলেও জানান সরকার প্রধান।
বিডি/এন/এমকে