প্রস্ততি ম্যাচে মাঠে নামার আগে প্রচণ্ড চাপে ছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট দল।
দলে নেই দেশসেরা ওপেনার তামিম ইকবাল। এ নিয়ে ক্রিকেট ভক্তদের মাঝে চরম হতাশা বিরাজ
করছে। বিশ্বকাপ দলে তামিম না থাকায় ক্ষোভে ফেটে পড়েছে ভক্তরা। সামাজিক মাধ্যম খুললেই
এ নিয়ে সমালোচনা চোখে পড়বে। এরই মধ্যে প্রস্তুতি ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে দারুণ কিছুর
আভাস দিল বাংলাদেশ। তামিম না থাকার হতাশার মধ্যে দারুণ জয়ে আসার স্বপ্ন দেখল বাংলাদেশ।
শ্রীলঙ্কাকে ৭ উইকেটে হারিয়ে জয় দিয়ে প্রস্তুতি শুরু করেছে বাংলাদেশ।
আগে ব্যাট করে ৪৯.১ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৬৩ রান তোলে শ্রীলঙ্কা। জবাবে
৪২ ওভারে তিন উইকেট হারিয়ে ২৬৪ রান করে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের যে ওপেনিং নিয়ে চলছে এত আলোচনা, সেই ওপেনিংয়ে ১৩১ রানের অসাধারণ
জুটি গড়েন দুই ওপেনার লিটন দাস ও তানজিদ হাসান তামিম। ২০.৪ ওভারে দুসান্ত হেমন্তের
বলে মাথিশা পাথিরানার হাতে ক্যাচ দিয়ে লিটন ফিরলে জুটি ভাঙে। ৫৬ বলে ৬১ রানের ইনিংস
খেলেন লিটন। আরেক ওপেনার তামিম আউট হন ৮৮ বলে ৮৪ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেন। তাকে
ফেরান লাহিরু কুমারা।
দুই ওপেনার বিদায় নিলেও আজকের ম্যাচে অধিনায়কত্ব করা মেহেদী হাসান মিরাজ
অপরাজিত থাকেন ৬৪ বলে ৬৭ রানে। তাকে দারুণ সঙ্গ দেন মুশফিকুর রহিম। ৪৩ বলে ৩৫ রানে
অপরাজিত থেকে দলের জয় নিশ্চিত করেন অভিজ্ঞ এ দুই ব্যাটার।
লঙ্কানদের পক্ষে একটি করে উইকেট নেন হেমন্ত, কুমারা ও ভেল্লালাগে।
এর আগে ভারতের গুয়াহাটির বারসাপাড়া স্টেডিয়ামে টসে জিতে ব্যাটিং বেছে নেন
লঙ্কান অধিনায়ক দাসুন শানাকা। ব্যাট করতে নেমে দারুণ শুরু করেন দুই লঙ্কান ওপেনার পাথুম
নিশাঙ্কা ও কুশাল পেরেরা। কিন্তু, ২৪ বলে ৩৪ রান করে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন পেরেরা। এরপর
মাঠে নেমে ১৯ বলে ২২ রান করেন কুশাল মেন্ডিস। নাজমুল হোসেন শান্তর ক্যাচে পরিণত করে
তাকে ফেরান শেখ মেহেদি।
১৪.৪ ওভারে ১০৪ রানে প্রথম উইকেট হারায় লঙ্কানরা। দুর্দান্তভাবে শুরু করলেও
বাংলাদেশি বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিং লাগাম টেনে ধরে লঙ্কান ব্যাটিংয়ের। ১০৪ রানের
পর ১০৭ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় তারা। ৬৪ বলে ৬৮ রান করে ম্যাচে ভয়ংকর হয়ে ওঠা নিশাঙ্কাকে
ফিরতি ক্যাচে ফেরান মেহেদি। লঙ্কান ইনিংসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ধনঞ্জয়া
ডি সিলভাকে ফেরান মেহেদী হাসান মিরাজ। ৭৯ বলে ৫৫ করে মাহমুদউল্লাহর হাতে ক্যাচ দিয়ে
ফেরেন সিলভা।
বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ তিন উইকেট নেন মেহেদি। এ ছাড়া একটি করে উইকেট পান
মিরাজ, শরিফুল, সাকিব ও নাসুম। উইকেট না পেলেও তাসকিন আহমেদ বেশ ভালো বোলিং করেছেন।
সাত ওভারে দিয়েছেন মাত্র ২৯ রান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর : শ্রীলঙ্কা ৪৯.১ ওভারে ২৬৩/৯। ( নিশাঙ্কা ৬৮, পেরেরা ৩৪,
মেন্ডিস ২২, সামারাবিক্রমা ২, আসালাঙ্কা ১৮, ডি সিলভা ৫৫, শানাকা ৩, করুনারত্নে ১৮,
ভেল্লালাগে ১০, হেমন্ত ১১, কুমারা ১৩*; তাসকিন ৭-০-২৯-০, সাকিব ৫.১-০-৩৩-১, শরিফুল
৫-০-৩৫-১, নাসুম ৮-০-৫১-১, হাসান ৫-০-৪৪-০, মেহেদি ৯-০-৩৬-৩, মিরাজ ১০-০-৩২-১)
বাংলাদেশ ৪২ ওভারে ২৬৪/৩। (তামিম ৮৪, লিটন ৬১, হৃদয় ০, মিরাজ ৬৭*, মুশফিক
৩৫*; রাজিথা ৬-০-৩৯-০, মাধুশাঙ্কা ৭-০-৩২-০, কুমারা ৬-০-৩০-১, ভেল্লালাগে ৮-০-৫৭-১,
পাথিরানা ৪-০-৪২-০, হেমন্ত ৯-০-৪৫-১, ডি সিলভা ২-০-১২-০)
ফলাফল : বাংলাদেশে সাত উইকেটে জয়ী।