চাপ পড়েছে ইসির ওপর

নিজস্ব প্রতিবেদক
০২ অক্টোবর ২০২৩

দেশে বিগত দুই জাতীয় সংসদ নির্বাচন (২০১৪ ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত) নিয়ে বিতর্ক আছে। এ কারণে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বর্তমান নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ওপর চাপ পড়েছে। তবে এ নির্বাচন নিরপেক্ষ সুষ্ঠু করতে সব ধরনের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছে ইসি।

কারণসহ চাপের কথা ও চ্যালেঞ্জ গ্রহণের বিষয়টি জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। রোববার ( অক্টোবর) উপজেলা নির্বাচনি কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ প্রসঙ্গে কথা  বলেন সিইসি। রাজধানী ঢাকায় ইসির প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে জাতীয় নির্বাচন উপলক্ষে এ প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে।

সিইসি বলেন, ‘নির্বাচনে যে সংকট রয়েছে, সেটা আস্থার সংকট। অবাধ এবং নিরপেক্ষ এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের চ্যালেঞ্জ নিতে চাই।এ সময় সব নির্বাচনি কর্মকর্তাকে নিরপেক্ষতার সঙ্গে নির্বাচন সম্পন্নের কাজ করার আহবান জানান সিইসি।

নির্বাচনি দায়িত্ব পালন বিষয়ে প্রশিক্ষণার্থী নির্বাচনি কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে সিইসি বলেন, আপনারা আরপিও অনুযায়ী দায়িত্বটা ভালোভাবে নেবেন। জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবেন। দায়িত্বটা কঠোরভাবে পালন করতে হবে। সবদেশের আইনেই ক্রেডিবল বলে একটা শব্দ আছে। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও বলা হয়- নির্বাচনটা ক্রেডিবল হতে হবে। ক্রেডিবল তখনই হবে, যখন দায়িত্ব পালনের মধ্য দিয়ে স্বচ্ছতা আনা হবে।

নির্বাচনি কর্মকর্তাদের দায়িত্ব পালনের বিষয়টি ইসি থেকে কঠোরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হবে বলেও তাদের সতর্ক করেন কাজী হাবিবুল আউয়াল।  নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন তর্ক বিতর্ক হতে পারে জানিয়ে নির্বাচন কমিশন প্রধান বলেন, এমন বিতর্ক অতীতেও হয়েছে। যে নির্বাচনটা করতে চাচ্ছি, সেটার বিশেষ একটা দিক হচ্ছে অভিযোগ বা বিতর্কের মাত্রাটা অতিরিক্ত। ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের চাপটা এসে ইসির ওপর পড়েছে। কাজেই আমরা নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছি। তবে এগুলো সত্য বা মিথ্যাও হতে পারে, সেদিকে যাচ্ছি না।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার আরও বলেন, …বাজারে যে কথা আছে। আমাদের ওপর, সরকারেরে ওপর আস্থা নেই। নির্বাচন নিরপেক্ষ হয় না। চ্যালেঞ্জটা গ্রহণ করতে চাই আমরা যে, আগামীতে যে নির্বাচনটা হবে অবাধ এবং নিরপেক্ষ এবং শান্তিপূর্ণ হবে। একই সঙ্গে স্বচ্ছ হবে। স্বচ্ছতাটা দেখাবো মিডিয়া এবং পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে।

 

বিডি/এন/এমকে


মন্তব্য
জেলার খবর