অর্থনীতিতে অশনি সংকেত

নিজস্ব প্রতিবেদক
০৩ অক্টোবর ২০২৩

বছরের প্রথম ছয় মাসে ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৩৫ হাজার কোটি বেড়ে দাঁড়িয়েছে লাখ ৫৬ হাজার ৩৯ কোটি টাকা। ওদিকে গত ৪১ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন রেমিট্যান্স এসেছে গেল সেপ্টেম্বর মাসে, পরিমাণে ১৩৪ কোটি ৩৬ লাখ ৬০ হাজার ডলার। রেমিট্যান্স কম আসায় দেশের ডলার সংকট তীব্র আকার ধারণ করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। খেলাপি ঋণ, রেমিট্যান্স প্রবাহ ও ডলার সংকটের বর্তমান পরিস্থিতি দেশের অর্থনীতির জন্য অশনি সংকেত বলে মনে করছেন অর্থনীতি বিশ্লেষকরা।

 

অর্থনীতি বিশ্লেষকরা বলছেন, ঋণ আদায় না করে উল্টো ঋণ গ্রহীতাদের একের পর এক সুবিধা দেওয়ায় বাড়ছে খেলাপি ঋণ। এতে অনেক ব্যাংকে তারল্য সংকট সৃষ্টি হচ্ছে। বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হবে ভবিষ্যতে। ফলে বিনিয়োগ কমবে, কর্মসংস্থান হবে না।

ওদিকে রেমিট্যান্স কমায় ডলার সংকট প্রকট হচ্ছে। এ কারণে সময় মতো এলসি খুলতে পারছে না অনেক প্রতিষ্ঠান। কার্ব মার্কেটে বাড়ছে ডলারের রেট, কমছে রিজার্ভ। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে অর্থনীতিতে।

বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ডলার এক্সচেঞ্জ রেট নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। এতে বৈধ পথে রেমিট্যান্স আসা কমছে। এর পরিবর্তে বেশি রেমিট্যান্স আসছে অবৈধ পথ হুন্ডিতে। হুন্ডিতে টাকা পাঠালে বেশি লাভ পাওয়া যাচ্ছে। তাছাড়া দেশের বিদ্যামান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ব্যাংকিং চ্যানেলে অনেকেই টাকা পাঠাচ্ছে না ঝামেলা এড়াতে। কারণ ব্যাংকিং চ্যানেলে টাকা পাঠালে জবাবদিহিতা করতে হয়। এসব কারণে বর্তমানে রেমিট্যান্স প্রবাহ কমছে বলে মনে করছেন অর্থনীতি বোদ্ধারা।

হুন্ডি বন্ধে ডলার এক্সচেঞ্জ রেট ফ্রি করে দেওয়ার পথ বাতলে দিয়েছেন অর্থনীতি বিশ্লেষকরা। রেমিট্যান্স প্রবাহ না বাড়লে অর্থনীতি ঝুঁকির মুখে পড়বে বলে আশঙ্কা তাদের।

অর্থনীতি বিশ্লেষকরা আরও বলছেন, খেলাপি ঋণ বাড়ায় ব্যাংক খাতের প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা কমে যাচ্ছে।মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাচ্ছে। এ অবস্থা চলমান থাকলে অর্থনীতি চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে দেশের।

 

বিডি/ই/এমকে


মন্তব্য
জেলার খবর