তিস্তা ব্যারাজের ৪৪ জল কপাট খুলে দিয়েছে পাউবো

নীলফামারী প্রতিনিধি
০৪ অক্টোবর ২০২৩

ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল আর ভারী বর্ষণের কারণে হু হু করে তিস্তায় পানি বেড়ছে। যে কোনো মূহর্তে বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে পানি। এমন পরিস্থিতিতে নীলফামারীর ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি জল কপাট খুলে দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)

এদিকে পানি বাড়তে থাকায় ইতোমধ্যে জেলার ডিমলা উপজেলার পশ্চিম ছাতনাই, পূর্ব ছাতনাই, খগাখড়িবাড়ী, টেপাখড়িবাড়ী, গয়াবাড়ী, খালিশা চাপানী ঝুনাগাছ চাপানী ইউনিয়নের প্রায় ১০টি গ্রাম এবং জলঢাকা উপজেলার ডাউয়াবাড়ি, গোলমুন্ডা, শোলমারী ইউনিয়নের চারটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকার প্রায় হাজার ৫শত পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

বুধবার ( অক্টোবর) দুপুর ১২টায় তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার (৫২ দশমিক ১৫ মিটার) ৭৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বিকাল তিনটায় ৫২ মিটার দশমিক ০৮ সেন্টিমিটারে প্রবাহিত হচ্ছে। প্রতি সেকেন্ডে প্রবাহিত হচ্ছে ২২ লাখ ৬৫ হাজার ৬০০ লিটার। পানি আরও বেড়ে বিপৎসীমা অতিক্রমের আশঙ্কা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)

পাউবো সুত্রে জানা গেছে, সিকিমের চুংথাং হ্রদ বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় গজলডোবা, দোমোহনী, মেখলিগঞ্জ এবং ঘিশ নদীতে পানি বাড়তে শুরু করেছে। দোমোহনী নদী হয়ে তিস্তা পানি প্রবেশ করছে।

ডিমলা উপজেলার কালিগঞ্জ গ্রামের বাসিন্দা মোবারক আলী জানান, সকাল বেলা নদীতে পানি বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এমনভাবে পানি বাড়ছে, মূহর্তের মধ্যে চরের ধান ক্ষেত তলিয়ে গেল।

একই গ্রামের বাসিন্দা সুমন মিয়া জানান, সকালের দিকে চরে গরু বেধে দিয়ে আসি। এর ঘন্টাখানে পরেই এতো পানি বৃদ্ধি পেলো, চরগুলো চোখের পলকে প্লাবিত হয়ে গেল।

 

ডিমলা উপজেলার টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ময়নুল হক জানান, তার ইউনিয়নের উত্তর খড়িবাড়ী গ্রামের প্রতিটি বাড়িতে এখন হাঁটু থেকে কোমর পানি।

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি পরিমাপক নুরুল ইসলাম জানান, উজানে বাঁধ ভাঙার কারণে দোমোহনী হয়ে তিস্তায় পানি প্রবেশ করছে। সে জন্য তিস্তায় যে কোনো সময় বিপৎসীমার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হতে পারে।

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলি আসফা-উদ-দৌল্লা বলেন, উজানে ভারি বর্ষণের কারণে তিস্তাসহ আশেপাশের নদীগুলোতে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিম্নাঞ্চলের মানুষকে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিতে বলা হয়েছে।

ডিমলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুরে আলম সিদ্দিকী জানান, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সতর্কতা জারিসহ প্রচার-প্রচারণা চালানো হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো ধরণের ক্ষয়ক্ষতির সংবাদ পাওয়া যায়নি।

 

বিডি/রাশেদুল ইসলাম/সি/এমকে


মন্তব্য
জেলার খবর