রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) সহায়তা করছে না বলে অভিযোগ করেছেন
সাবেক নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম। তিনি বলেছেন, প্রধান বিরধী দল নির্বাচনে না আসলে
নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হয় না। যদিও সব রাজনৈতিক দলকে নির্বাচনে নিয়ে আসার দায়িত্ব
নির্বাচন কমিশনের না।
নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সম্পৃক্ত সবাইকে মূল ভূমিকা রাখতে হবে। নির্বাচনে
শুধু কমিশন নয়, অনেকে রয়েছে। অথচ কোনো সমস্যা হলে নির্বাচন কমিশন আসামির কাঠগড়ায় দাঁড়ায়।
উল্লেখ করেন তিনি।
বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে ‘অবাধ ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায়
প্রার্থী ও পোলিং এজেন্টদের ভূমিকা’ শীর্ষক কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, নির্বাচন প্রক্রিয়ায় যদি গাফিলতি থাকে, তাহলে ব্যবস্থা নিতে
হবে। নির্বাচন কমিশনের অগাধ ক্ষমতা আছে, এটা নিয়ে আর্গুমেন্ট (বিতর্ক) আছে। কারণ নির্বাচনে
কেউ গাফলতি করলে কমিশন সরাসরি ব্যবস্থা নিতে পারে না। এটি নির্বাচন কমিশনের একটি দূর্বলতা।
প্রত্যেক রাজনৈতিক দল ও ব্যক্তিকে ভালো নির্বাচনের কমিটমেন্ট করতে হবে।
কবিতা খানম বলেন, পোলিং এজেন্ট দেওয়ার দায়িত্ব প্রার্থীর। পোলিং এজেন্টদের
বের করে দেওয়ার তথ্য আমরা পাচ্ছি না। শুধু হাওয়ার উপরে অভিযোগ দিলে হবে না। পোলিং এজেন্টদের
নিরপেক্ষ আচরণ করতে হবে। ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়ায় প্রার্থীকে উপযুক্ত ভূমিকা রাখতে হবে।
প্রার্থীদের পোলিং এজেন্টদের তালিকা ইসিতে পাঠানো দরকার।
নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ বলেন, দেশে প্রধান দুটি দল দুই মেরুতে।
এদের এক হতে হলে ভোট সুষ্ঠু হতে হবে। নির্বাচন সুন্দর করার মূল লক্ষ্যে নিবন্ধিত দলকে
এক করতে হবে। নির্বাচন কমিশনকে শক্তভাবে কাজ করতে হবে। নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলো না
আসলে নির্বাচন কমিশনের কিছু করার থাকে না।
নির্বাচন কমিশনের অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব জেসমিন টুলি বলেন, ভোট অবাধ
করতে সবাইকে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করতে হবে। প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ভালো ভূমিকা
নিতে হবে। মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার সময় বাধা দেওয়া হয় যেন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত
হওয়া যায়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ভালো ভূমিকা পালন করতে হবে। পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।
সব কিছু নির্ভর করবে নির্বাচনী পরিবেশের উপর।
তিনি বলেন, ২০১৮ সালের নির্বাচন নিয়ে অনেক কথাবার্তা রয়েছে, অনেক প্রার্থীর
অভিযোগ ছিল তাদের তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কিন্তু কমিশন কোনো তদন্ত করেনি, কারা তুলে
নিয়েছে, কেন নিয়েছিল। ঘটনা আসলে কী ছিল।
আরআই