দেশে নদী রক্ষার ক্ষেত্রে দখলদার উৎখাতসহ ১০ দফা দাবি বাস্তবায়নের আহবান
জানিয়েছে পরিবেশ নিয়ে কাজ করা বেশ কয়েকটি সংগঠন। শনিবার (১৩ মার্চ)
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন থেকে এই আহবান জানানো
হয়। আন্তর্জাতিক নদী দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ পরিবেশ পরিবেশ আন্দোলন(বাপা),
ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ, জাতীয় নদী জোট ও জাতীয় নদী রক্ষা আন্দোলন
যৌথভাবে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
সংগঠনগুলোর দাবির মধ্যে রয়েছে- ১. আদালতের রায়ের ভিত্তিতে সব নদীর সীমানা
নির্ধারণ, নির্মোহভাবে দখলদার উৎখাত ও তা দখলমুক্ত রাখতে হবে; ২. নদী নামক
জীবন্ত স্বত্তার অধিকার নিশ্চিত করতে হবে; ৩. নদীতে ‘বাঁধ-ব্যারেজ-রেগুলেটর
বসানোর বেষ্টনী নীতি’ ভিত্তিক নদী ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে এবং
‘বাংলাদেশ ডেল্টা পরিকল্পনার-২১০০' নামের সেই একই ভুল ব্যবস্থাপনা বন্ধ করতে
হবে; ৪. মৃত ও ভরাট নদী ড্রেজিং করে তার প্রবাহ ও নাব্য পুনরুদ্ধার করতে হবে
এবং নদীর মাটি/পাড় ইজারা দেওয়া বন্ধ করতে হবে; ৫. ভূমি মন্ত্রণালয়, পানি
উন্নয়ন বোর্ড, ওয়াসা, সিটি করপোরেশন, পৌরসভাসমূহ, নগর উন্নয়ন সংস্থাসমূহ,
বিআইডব্লিটিএ ও নদী কমিশনকে দৃঢ়ভাবে নদীবান্ধব নীতি অনুসরণ করতে হবে; ৬.
বাংলাদেশকে জাতিসংঘ প্রণীত পানি প্রবাহ আইন-১৯৯৭ অবিলম্বে অনুস্বাক্ষর ও সে
অনুযায়ী নদীরক্ষায় পদক্ষেপ নিতে হবে, তার ভিত্তিতে একটি আঞ্চলিক পানি সম্পদ
ব্যবস্থাপনা নীতি-কৌশল প্রণয়ন ও সব আন্তঃসীমান্ত নদীর ব্যবহার নিশ্চিত করতে
হবে; ৭. সব শিল্প কারখানায় বর্জ্য পরিশোধন প্লান্ট সংযোজন ও ব্যবহার
বাধ্যতামূলক করতে হবে; ৮. শহুরে গৃহস্থালী ও হাসপাতাল বর্জ্য নদীতে ফেলা বন্ধ
ও তরল বর্জ্য পরিশোধন করা সম্পূর্ণ বাধ্যতামূলক করতে হবে; ৯. নদীর ওপর
কাঁচা/পাকা পায়খানা নির্মাণ বন্ধ এবং জমিতে রাসায়নিক সার-কীটনাশক ব্যবহার
বন্ধ করতে হবে; ১০. নৌ-যান নির্গত ময়লা,বর্জ্য, তেল পানিতে ফেলা নিষিদ্ধ ও
নৌ-যানে তেলের পরিবর্তে গ্যাস বা সোলার ব্যবহার বাধ্যতামূলক করতে হবে।
এমকে