নির্বাচনে আইনি দিকটা দেখবে ইসি

নিজস্ব প্রতিবেদক
০৫ অক্টোবর ২০২৩

 

নির্বাচনের আইনগত (লিগ্যালিটি) দিকটাই কেবল দেখবে নির্বাচন কমিশন (ইসি) বৈধতার (লেজিটেমেসি) বিষয়টি নিয়ে ফাইট করবে না তারা। এ বিষয়ে ফাইট করবে রাজনৈতিক সমাজ রাজনৈতিক নেতারা। নির্বাচনে কোন রাজনৈতিক অংশ নেবে কি নেবে না, সেটা নিয়ে মাথা ঘামাবে না ইসি।

বুধবার ( সেপ্টেম্বর) বিষয়টি জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।  রাজধানী ঢাকায় নির্বাচন ভবনে অবাধ ভোটাধিকার, প্রার্থী পোলিং এজেন্টদের ভূমিকা শীর্ষক বৈঠকে এ প্রসঙ্গে কথা বলেন সিইসি। তিনি বলেন, ‘কথা কিন্তু আমরা বলবো না। কথা বলতে হবে রাজনীতিবিদদের।

ওদিকে সাবেক নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম বলেন,সব রাজনৈতিক দলকে নির্বাচনে নিয়ে আসার দায়িত্ব ইসির না হলেও প্রধান বিরোধী দল নির্বাচনে না আসলে নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হয় না। ভোট অংশগ্রহণমূলক হতে হবে। নির্বাচনে ভোটের পরিবেশ ঠিক করতে হবে। ওই বৈঠকেই এসব কথা বলেন তিনি।

বৈঠকে সিইসি বলেন, নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হলে ইসির দায়িত্ব কমে যায়। এ ক্ষেত্রে অল্প একটু রেফারির ভূমিকা থাকবে তাদের। প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে রাজনৈতিক দলের মধ্যে। বাস্তবিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা হলে ভোটকেন্দ্রের মধ্যে স্বয়ংক্রিয়ভাবে একটি ভারসাম্য সৃষ্টি হয়। তিনি জানান, ইসি দেখতে চায়- নির্বাচনের দিকে ভোটাররা এসেছেন। লাইনে দাঁড়িয়েছেন, ভোটকেন্দ্রে ঢুকছেন। ব্যাপক সংখ্যক ভোটার এসে ভোট দিলে সেটাকে অংশগ্রহণমূলক বলতে পারি আমরা।

নির্বাচনে কোনো রাজনৈতিক দলকে নিয়ে আসা ইসির দায়িত্ব নয় জানিয়ে কাজী হাবিবুল আউয়াল জানান, তারপরও নৈতিকতার অবস্থান থেকে অনেকবার দাওয়াত দিয়েছি আমরা। আসুন, আমাদের সঙ্গে চা খান। ডিইও লেটার পর্যন্ত লিখেছি। এর বেশি কিছু করতে পারছি না আমরা।

কেবল এক শতাংশ ভোট পড়লেও আইনগতভাবে নির্বাচন সঠিক হবে। লেজিটেমেটির ব্যাপারটা ভিন্ন হতে পারে, বলেন সিইসি।

নির্বাচন কমিশন প্রধান বলেন, এক শতাংশও যদি ভোট পড়ে, তাও দেখবো- ভোটটা অবাধ, নিরপেক্ষ শান্তিপূর্ণ হয়েছে। ভোটাদের তাড়িয়ে দেওয়া হয়নি, ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়েছে। তারা নির্বিঘ্ন স্বাধীনভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন।

বিডি/এন/এমকে


মন্তব্য
জেলার খবর