ভারী বর্ষণের ফলে ভারতের সিকিমের প্রাকৃতিক লেকের পানি বেড়ে গেছে। সেই পানির
চাপে বাধ ভেঙে চুংথাম বাঁধ ছাপিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। তিস্তার উৎপত্তি ভারতের সিকিমে
হওয়ায় এসব পানি এসে পড়ছে এতে। এতে তিস্তার পানির স্তর প্রায় ১৫ থেকে ২০ ফুট বেড়ে গেছে।
যার কারণে তিস্তা দিয়ে পানি হু হু করে ঢুকছে বাংলাদেশের উত্তরের নিম্নাঞ্চলগুলোতে।
তিস্তা নদীর পানি বেড়ে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে
তিস্তা পাড়ের মানুষজন।
এরই মধ্যে পানি বাড়ায় বন্যার আশঙ্কায় নীলফামারী, লালমনিরহাট, রংপুর, কুড়িগ্রাম
ও গাইবান্ধা জেলার কর্মরত সব কর্মকর্তা ও কর্মচারীর ছুটি বাতিল করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
তাদের কর্মস্থল ত্যাগ করা যাবে না বলেও নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
বুধবার রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এদিন সন্ধ্যা ৭টার দিকে তিস্তার ডালিয়া ব্যারেজ পয়েন্টে পানি প্রবাহ রেকর্ড
করা হয়েছিল ৫২.৪০ মিটার, যা বিপৎসীমার ২৫ সেন্টিমিটার ওপরে। মধ্যরাত নাগাদ তিস্তার
পানি ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ৫০ সেন্টিমিটার ওপরে উঠার আশঙ্কা করে পানি উন্নয়ন
বোর্ড। এরই মধ্যে নদী এলাকায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
স্থানীয় প্রশাসন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মাইকিং করেছে। সেইসঙ্গে সতর্কতা
অবলম্বনে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন নির্দেশনাও জারি করা হয়েছে।
আরআই