বাংলা সাহিত্যের জনপ্রিয় কবি আসাদ চৌধুরী মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার কানাডার
টরন্টোর স্থানীয় একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। ইন্না লিল্লাহি ওয়া
ইন্না ইলাইহি রাজিউন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। কবির জামাতা নাদিম ইকবাল বিষয়টি
নিশ্চিত করেছেন।
বিষয়টি সংবাদমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন কবির জামাতা নাদিম ইকবাল।
কবি আসাদ চৌধুরী ১৯৪৩ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার
উলানিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৫৭ সালে আরমানিটোলা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে প্রবেশিকা
পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।। ১৯৬০ সালে বরিশালের ব্রজমোহন কলেজ থেকে তিনি উচ্চমাধ্যমিক
সম্পন্ন করেন। পরবর্তীকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর
ডিগ্রি লাভ করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ চুকে যাওয়ার পর কলেজে অধ্যাপনার মধ্য দিয়ে কবি আসাদ
চৌধুরীর চাকরিজীবন শুরু। ব্রাহ্মণবাড়িয়া কলেজে তিনি ১৯৬৪ থেকে ১৯৭২ পর্যন্ত শিক্ষকতা
করেন। পরবর্তীতে তিনি বিভিন্ন খবরের কাগজে সাংবদিকতা করেছেন।
কবি আসাদ চৌধুরী বাংলাদেশের প্রধান কবিদের অন্যতম। তিনি তার ভরাট কণ্ঠে
কবিতা আবৃত্তি করে মানুষের মন জয় করেছেন। মৌলিক কবিতা ছাড়াও শিশুতোষ গ্রন্থ, ছড়া,
জীবনী ও অণুবাদকর্মে তার অবদান প্রণিধানযোগ্য।
১৯৭৫ সালে তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘তবক দেওয়া পান’ প্রকাশিত হয়। ‘সত্যফেরারী’ কবিতায় তিনি লিখেছেন, 'কোথায় পালালো
সত্য?/... প্রেম-প্রীতি ভালবাসাতেও নেই/ এমন কি কালোবাজারেও নেই/ কোথায় গেলেন সত্য?'।
১৯৮৩ সালে তার রচিত ‘বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ’ শীর্ষক বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য
গ্রন্থটি প্রকাশিত হয়। এ ছাড়া একই বছর তিনি সম্পাদনা করেন বঙ্গবন্ধুর জীবনী ভিত্তিক
গ্রন্থ ‘সংগ্রামী নায়ক বঙ্গবন্ধু।’
আরআই