দাম বেঁধে দিয়ে গত ১৪ সেপ্টেম্বর আলু-পেঁয়াজ ও ডিমের নতুন দর নির্ধারণ করে দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। কিন্তু ৬ অক্টোবরেও আলু ও পেঁয়াজের ক্ষেত্রে বেঁধে দেওয়া সেই দাম কার্যকর হয়নি বাজারে। কার্যকর হওয়ার পরিবর্তে পেঁয়াজের দাম আরও বেড়েছে। এ নিয়ে ভোক্তাদের মধ্যে হতাশার পাশাপাশি ক্ষোভ বাড়ছে। সিন্ডিকেট-ই বেঁধে দেওয়া দাম কার্যকরের ক্ষেত্রে বড় বাধা বলে মনে করা হচ্ছে। কিন্তু সেই সিন্ডিকেটে এখনো শক্ত কুঠারাঘাত করা হয়নি।
এমন পরিস্থিতিতে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মাধ্যমে বেঁধে দেওয়া দাম কার্যকর করতে চেষ্টা চলছে। পণ্যের নির্ধারিত দাম কার্যকর করতে যে টার্গেট নিয়ে আলু, পেঁয়াজ ও ডিমের দাম বেঁধে দেওয়া হয়েছে, সেটা অর্জন হয়নি বলে মন্তব্য করেন তিনি। শুক্রবার (৬ অক্টোবর) রংপুরে সাংবাদিকদের কাছে এ মন্তব্য করেন।
শুক্রবার বাজারে খুচরায় কেজি প্রতি আলু ৪৫ টাকা আর দেশি পেঁয়াজ মান ভেদে ৭০- ৯০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। প্রতি ডজন লাল ডিম ১৪৪-১৪৫ টাকা, সাদা ডিম ডজন প্রতি ১৪০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।
অথচ বেঁধে দেওয়া দরে খুচরায় প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৬৪ থেকে ৬৫ টাকা ও আলু ৩৫-৩৬ টাকা বিক্রি হওয়ার কথা। ডিমের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য বেঁধে দেওয়া হয় প্রতি পিস ১২ টাকা।
আলু-পেঁয়াজের খুচরা বিক্রেতারা আশঙ্কা প্রকাশ করে জানিয়েছেন, আলু ও পেঁয়াজের দাম আরও বাড়তে পারে। ভোক্তারা বলছেন, নির্ধারিত দরে বেঁধে দেওয়া দামের পণ্য কিনতে পারা যাচ্ছে না। বাধ্য হয়ে বেশি দামেই কিনতে হচ্ছে। তবে চাহিদার তুলনায় কম কিনতে হচ্ছে খরচ সামলাতে।
এদিকে কেবল আলু-পেঁয়াজই নয়, এর পাশাপাশি সব ধরনের সবজিসহ রসুনের দামও চড়া। শুক্রবার ভারতীয় আদা ২৪০ টাকা, চায়না রসুন ১৯০-২০০, দেশি রসুন ২৪০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। পেঁপে বাদে ৪০ টাকার নিচে কোনও সবজির কেজি পাওয়া যাচ্ছে না। বৃষ্টির কারণে সরবরাহ কমায় সবজির দাম বেড়েছে বলে জানিয়েছেন সবজি বিক্রেতারা।
শুক্রবার রাজধানীতে লম্বা বেগুন, করল্লা ও মুলা ৮০ টাকা; গোল বেগুন ১০০, শসা ৬০-৮০, কাঁকরোল ১০০, মিষ্টি কুমড়া ও ধুন্দল ৫০ টাকা; ঢেঁড়স, পটল ও চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকা, কচুরমুখী ১০০ টাকা, শিম ১৬০ টাকা, কাঁচামরিচ ২৪০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে কেজি প্রতি।
বিডি/ই/এমকে