শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের সম্ভাবনা কতটা

নিজস্ব প্রতিবেদক
০৯ অক্টোবর ২০২৩


দেশে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ নিয়ে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের মোড়লিপনা করা দেশগুলো এ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক দেখতে চাচ্ছ। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের অধীনেই নির্বাচন হবে। কিন্তু বিএনপির পক্ষ থেকে শেখ হাসিনার অধীনে এ নির্বাচন হতে না দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে- নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হবে কিনা, শান্তিপূর্ণ হওয়ার সম্ভাবনা কতটুকু।

নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হবে কিনা— বিষয়টি নিশ্চিত নন পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন। তিনি মনে করেন- সব দলের ঐকমত্যের ভিত্তিতে, তাদের ইচ্ছা ও আন্তরিকতার ওপর নির্ভর করে অহিংস নির্বাচন। কিন্তু আমাদের এসব দেশে বেশ সংঘাত হয়।

রোববার (৮ অক্টোবর) ছয় সদস্যের মার্কিন প্রাক-নির্বাচনি পর্যবেক্ষক প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের বিষয়টি জানান। রাজধানী ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এ বৈঠকে নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়।

সরকার অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চায় উল্লেখ করে মন্ত্রী আব্দুল মোমেন বলেন, নির্বাচন সংঘাতহীন হবে—আমাদের পক্ষে এর নিশ্চয়তা দেওয়া সম্ভব নয়।

বৈঠক প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন- মার্কিন প্রতিনিধি দল জানতে এসেছেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য কী কী করেছে সরকার। তারা শুধু জানতে চেয়েছেন— কীভাবে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। এ বিষয়ে তাদের নিজেদের কোনও মতামত নেই।

বৈঠকে নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি। তারা কোনও ধরনের পরামর্শ দেয়নি। অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনের কথা ওঠেনি, জানান মন্ত্রী আব্দুল মোমেন।

ওদিকে এ নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক না হলে ২০১৪ সালের মতো নির্বাচন কমিশনের (ইসি) মাঠ কার্যালয়গুলো হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হতে পারে। তাই মাঠ কার্যালয়গুলোর নিরাপত্তা জোরদার করার দাবি জানানো হয়েছে।

শনিবার (৭ অক্টোবর) নির্বাচন ভবনে রুদ্ধদ্বার এক বৈঠকে মাঠ পর্যায়ের কয়েকজন কর্মকর্তা হামলার আশঙ্কা প্রকাশসহ নিরাপত্তা জোরদারের দাবি জানান বলে জানা গেছে।

ওদিকে নির্বাচনের আইনগত (লিগ্যালিটি) দিকটাই কেবল দেখবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বৈধতার (লেজিটেমেসি) বিষয়টি নিয়ে ফাইট করবে না তারা। এ বিষয়ে ফাইট করবে রাজনৈতিক সমাজ ও রাজনৈতিক নেতারা। নির্বাচনে কোন রাজনৈতিক অংশ নেবে কি নেবে না, সেটা নিয়ে মাথা ঘামাবে না ইসি। সম্প্রতি সাংবাদিকদের এমনটাই জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল।

কেবল এক শতাংশ ভোট পড়লেও আইনগতভাবে নির্বাচন সঠিক হবে। লেজিটেমেটির ব্যাপারটা ভিন্ন হতে পারে, বলেন সিইসি।

ইসি দেখতে চায়- নির্বাচনের দিকে ভোটারা এসেছেন।লাইনে দাঁড়িয়েছেন, ভোটকেন্দ্রে ঢুকছেন।ব্যাপক সংখ্যক ভোটার এসে ভোট দিলে সেটাকে অংশগ্রহণমূলক বলতে পারি আমরা- যোগ করেন কাজী হাবিবুল আউয়াল

সাবেক নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম অবশ্য বলছেন,সব রাজনৈতিক দলকে নির্বাচনে নিয়ে আসার দায়িত্ব ইসির না হলেও প্রধান বিরোধী দল নির্বাচনে না আসলে নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হয় না। ভোট অংশগ্রহণমূলক হতে হবে। নির্বাচনে ভোটের পরিবেশ ঠিক করতে হবে।



 

বিডি/এন/এমকে


মন্তব্য
জেলার খবর