ছোট বাচ্চাদের সর্দি-কাশির সমস্যা যেন লেগেই থাকে। শুধু ঠাণ্ডা লাগলেই শিশুর কাশির সমস্যা হয় না। বেশ কিছু কারণেই শিশুর কাশি হতে পারে। সর্দি কাশির চিকিৎসায় অ্যান্টিবায়োটিকের ওপর নির্ভরতা থেকে সরে দাঁড়াতে শুরু করেছেন চিকিৎসকরা। তারাও খুঁজছেন প্রাকৃতিক সমাধান। এক্ষেত্রে জেনে নিন বাচ্চার কাশি সারানোর ঘরোয়া কিছু উপায়।
গার্গল
গরম পানিতে গার্গল করা কাশি ও গলা ব্যথা থেকে মুক্তি দেওয়ার সবচেয়ে কার্যকর উপায়! এক গ্লাস গরম পানিতে সামান্য লবণ মিশিয়ে গার্গল করা খুব উপকারি। দিনে অন্তত তিন বার গার্গল করা ভাল।
লেবু ও মধু
লেবু পানিতে এক চা চামচ মধু মিশিয়ে বাচ্চাকে খাওয়ান। মধু শ্বাসযন্ত্রের ব্যাকটিরিয়া ধ্বংস করে, বুক থেকে কফ দূর করে গলা পরিষ্কার রাখে।
হলুদ ও মধু
মধু গলা ভাল রাখতে সাহায্য করে। এক্ষেত্রে এক বছরের বেশি বয়সের বাচ্চাদেরই হলুদের সাথে মধু মিশিয়ে দিন। হলুদে অ্যান্টিব্যাকটিরিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে। বাচ্চার কাশির সারাতে হলুদ দুধ ব্যবহার করতে পারেন। এক গ্লাস গরম দুধে আধা চা চামচ হলুদ মিশিয়ে বাচ্চাকে খাওয়ান। কাশি থেকে স্বস্তি মিলবে।
আদা ও মধু
সর্দি কাশি থেকে মুক্তি পাওয়ার এক দুর্দান্ত ঘরোয়া উপায় হলো আদা। বাচ্চাকে এক টুকরা আদার সাথে মধু মিশিয়ে খাওয়াতে পারেন। তবে এক বছরের কম বয়সী বাচ্চাদের মধু দেবেন না।
গরম স্যুপ
বাচ্চার কাশি হলে গরম স্যুপ খাওয়াতে পারেন। এতে কাশি কমতে পারে এবং গলা ব্যথাও কমে যাবে।
মিশ্রি
কাশি থেকে মুক্তি পেতে বাচ্চাকে মিশ্রি দিতে পারেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মিশ্রি গলার আর্দ্রতা বজায় রাখে, যার ফলে গলায় জ্বালা কম হয়।
সরিষার তেল ও রসুন
সরিষার তেল গরম করে এর মধ্যে সামান্য রসুন থেঁতো করে মিশিয়ে রাখুন কিছুক্ষণ। এরপর ওই তেল দিয়ে শিশুর গলা, বুক, পিঠ, হাতের তালু ও পায়ের পাতায় এটি মালিশ করুন। ঠাণ্ডা-কাশি দ্রুত সেরে যাবে এই উপায়ে।