দেশে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অনেক সময় ধর্মীয় বা সাম্প্রদায়িক সংঘাত ও সহিংসতা হয়েছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরেও এ ধরণের সংঘাত ও সহিংসতা হতে পারে- এমন আশঙ্কা করছেন হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের নেতারা। সংঘাত বা সহিংসতা এড়াতে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা। অবশ্য আশঙ্কার বিষয়টিকে খুব গুরুত্ব সহকারে নিয়েছে ইসি।
বুধবার (১১ অক্টোবর) রাজধানী ঢাকার নির্বাচন ভবনে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সঙ্গে বৈঠকে বিষয়টি ওঠে আসে। বৈঠক শেষে বিষয়টি সাংবাদিকদের জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, বিষয়টি আসলে দেখবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তবে যখন নির্বাচনের সঙ্গে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট হবে, সেটুকু পর্যন্ত সংশ্লিষ্টতা এসে যায় ইসির।
নির্বাচন কমিশন প্রধান বলেন- চিঠি, পত্র দিয়ে সরকারকে, ডিসি, এসপিদের, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়- যারা এর সঙ্গে দায়িত্বপ্রাপ্ত, তাদের বিষয়টি অবহিত করা হবে। নির্বাচনের ১৫ দিন পর পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর ইসির কিছুটা নিয়ন্ত্রণ থাকে। সেদিকে নজর রাখা হবে।
সংঘাত বা সহিংসতা কখনো সভ্য আচরণ নয় উল্লেখ করে কাজী হাবিবুল আউয়াল আরও জানান, এ ধরনের অমানবিকতাকে কখনোই প্রশ্রয় দিই না আমরা। আমরা তাদের পরামর্শ দিয়েছি- সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে শঙ্কার কথা জানিয়ে রাখেন আপনারা।
বিডি/এন/এমকে