পঞ্চগড় পৌর এলাকায় অধিকাংশ সড়কবাতি নষ্ট হয়ে গেছে। ফলে সন্ধ্যার পর থেকে ভুতুড়ে পরিবেশ, ঘুটঘুটে অন্ধকার বিরাজ করছে। এ অবস্থায় পৌর বাসিন্দাদের বিশেষ করে নারী ও বয়স্কদের পথ চলতে নানা ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। তারা দ্রুত নষ্ট সড়কবাতি বদলানোর জোর দারি জানিয়েছেন।
সম্প্রতি দুই রাত সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, হাইওয়ে সড়ক থেকে পুলিশ সুপার কার্যালয় পর্যন্ত ছয়টি খুঁটির একটিও বাতি জ্বলছে না। জালাসি মোড় থেকে উপজেলা চেয়ারম্যানের বাড়ি, জালাসি কবরস্থান থেকে খোকনের বাড়ি সংলগ্ন,স্টেডিয়াম সংলগ্ন বনবিভাগ হয়ে কায়েতপাড়া সড়ক ঘুটঘুটে অন্ধকার, হাইওয়ে সড়ক উপজেলা পরিষদ গেইট থেকে জালাসিমোড় পর্যন্ত দুইটি খুঁটিতে বাতি জ্বলছে। ইসলামবাগ, রৌশনাবাগ কামাতপাড়া,রাজনগর,খালপাড়া,তুলারডাঙ্গা এলাকায় সড়কবাতি জ্বললেও কয়েকটি খুঁটি পরপর বাতি অকেজো রয়েছে। সেখানে আধো আলো আধো অন্ধকার পরিবেশ ছিল। কিছু এলাকায় সড়কবাতি থাকলেও পর্যাপ্ত ছিল না। এতে ব্যক্তিগত গাড়ি,অটোরিকশা আর মোটরসাইকেলের আলোয় পথ চলছেন পথচারীরা।
ভুক্তভোগী বাসিন্দাদের অভিযোগ, নগরের অনেক এলাকায় কোথাও সড়কবাতি জ্বলছে, আবার কোথাও সড়কবাতিই নেই। আলো-আঁধারের এ পরিবেশের কারণে সন্ধ্যার পর পথ চলতে অসুবিধা হয়। ছিনতাইয়ের শঙ্কায় থাকতে হয়। অন্ধকারে হাঁটার সময় একটু অসাবধান হলেই হোঁচট খেয়ে দুর্ঘটনাও ঘটে। কিছু কিছু জায়গায় অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে মাদকাসক্তরা অপতৎপরতা বেড়েছে।
ইসলামবাগ এলাকার মজিবর রহমান বলেন, কয়েকমাস হল সড়ক বাতিগুলো নষ্ট। কাউন্সিলরকে জানিয়েছি। কিন্তু কোন পদক্ষেপ নেই। রাতে সড়কে হাঁটতে বের হলে হোঁচট খেয়ে দূর্ঘটনা ঘটে।
কায়েত পাড়া এলাকার বাসিন্দা সজল হোসেন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,নিয়মিত পৌরকর পরিশোধ করলেও পৌরসভার কোন সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছি না আমরা। এলাকাটির অসংখ্য সড়কে দিনের পর দিন কোনো সড়কবাতি জ্বলছে না। জরুরি প্রয়োজনে রাতে বাইরে যেতে হলে আতঙ্কে থাকতে হয়।
পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী নুরুজ্জামান জানান,বাতি শেষ হয়ে গেছে।তবে আগামী পনের দিনের মধ্যে বাতি স্থাপন করা হবে।