বিশ্বকোপের বাছাই পর্বে টানা তৃতীয় জয় তুলে নিয়েছে আর্জেন্টিনা। কনমেবল
অঞ্চলে ইকুয়েডর, বলিভিয়ার পর এবার প্যারাগুয়েকে হারাল আকাশী-সাদারা। বুয়েন্স আয়ার্সের
এস্তাদিও মাস মনুমেন্তালে শুক্রবার মাঠে নামে মেসির আর্জেন্টিনা। ১-০ ব্যবধানে জয় নিয়ে মাঠে ছাড়ে ম্যারাডোনার অনুসারীরা। দলের হয়ে জয়সূচক
গোলটি করেন নিকোলাস ওতামেন্দি।
এদিন শুরুর একাদশে না থাকলেও দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমেছিলেন লিওনেল মেসি।
তবে গোলবারের বাধায় দারুণ দুটি গোল থেকে বঞ্চিত হয়েছেন এ তারকা।
ঘরের মাঠে প্রথমার্ধে পুরোপুরি আধিপত্য ছিল স্বাগতিকদের। ৭৪ শতাংশ সময় বল
দখলে রেখে গোলের উদ্দেশে ১০টি শট নেয় তারা। যার ৪টি ছিল গোলমুখে। অন্যদিকে প্যারাগুয়ে
২টি শট নিলেও প্রথমার্ধে তারা ছিল একেবারে ব্যাকফুটে।
ম্যাচ শুরুর তৃতীয় মিনিটেই গোলের দেখা পায় আর্জেন্টিনা। কর্নার থেকে রদ্রিগো
ডি পলের ক্রস ডি-বক্সে দখলে নেন ওতামেন্দি। দূরের পোস্টে থাকায় তিনি ছিলেন কিছুটা অরক্ষিত।
প্যারাগুয়ের ডিফেন্ডাররা তাকে বাধা দেয়ার আগেই জোরালো শটে তিনি বল জালে জড়ান। কোনো
সুযোগই পাননি প্যারাগুয়ের গোলরক্ষক কার্লোস।
বিরতিতে যাওয়ার আগ পর্যন্ত একের পর এক আক্রমণ শাণিয়েছে স্ক্যালোনির শিষ্যরা।
২৬তম মিনিটে দারুণ এক সুযোগ পেয়েছিলেন লাউতারো মার্টিনেজ। বল নিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে পড়লেও
প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডারদের বাধায় শটে নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেননি তিনি। গতি কম থাকায় বল
সহজের গ্লাভসবন্দি করে নেন কার্লোস।
দুই মিনিট পর লাউতারো আরও একটি সুবর্ণ সুযোগ পেয়েছিলেন। এবার জোরালো শট
নিলেও সেটা এক ডিফেন্ডারের পায়ে লেগে বারের ওপর দিয়ে বেরিয়ে যায়। বাকি সময়টায় একের
পর এক আক্রমণ ঠেকিয়ে প্যারাগুয়ের জাল অক্ষত রাখেন কার্লোস। বিরতির আগে দলের লিড দ্বিগুণ
করার সুযোগ পেয়েছিলেন নিকোলাস গঞ্জালেজ। কিন্তু ভাগ্য সহায় হয়নি। ডি-বক্সের ডান প্রান্ত
থেকে নেয়া তার নিচু শটটি বাম প্রান্তের বার ঘেঁষে বেরিয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত ১-০ গোলের
লিড নিয়েই বিরতিতে যেতে হয় আলবিসেলেস্তেদের।
বিরতির পর হুলিয়ান আলভারেজের বদলি হয়ে মাঠে নামেন মেসি। তাতে আরও আক্রমণাত্মক
হয়ে ওঠে আর্জেন্টিনা। তবে মেসি কিংবা লাউতারো মার্টিনেজকে খুব একটা সুযোগ দেয়নি প্যারাগুয়ের
রক্ষণভাগ। চীনের মহাপ্রাচীর হয়ে তারা ডি-বক্সে ঢোকার আগেই থামিয়ে দিয়েছে মেসিদের আক্রমণ।
৭২ মিনিটে দুর্দান্ত এক কর্নার নেন মেসি। ডান কর্নার থেকে বাঁ পায়ে নেয়া তার ক্রস একটুর
জন্য জালে জড়ায়নি। বল দূরের পোস্টে লেগে বাইরে চলে যায়। যোগ করা সময়ে প্রায় মাঝমাঠ
থেকে একাই বল টেনে প্রতিপক্ষের রক্ষণ দুর্গে ঢোকার চেষ্টা করেন মেসি। তবে ডি-বক্সে
ঢোকার আগেই প্যারাগুয়ের ডিফেন্ডাররা তাকে ফাউল করে বসে। প্রায় ২০ মিটার দূরত্ব থেকে
ফ্রি-কিক নেন মেসি। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত তার শটটি সাইড বারে লেগে বেরিয়ে যায়।
শেষ পর্যন্ত প্রথমার্ধে পাওয়া সে ১-০ গোলের লিড নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় আর্জেন্টিনাকে।
এর আগে ইকুয়েডর ও বলিভিয়ার বিপক্ষে জয় তুলে নিয়েছিল আর্জেন্টিনা। তাতে কনমেবল অঞ্চলের
বিশ্বকাপ বাছাইয়ে টানা ৩ জয়ের তাদের পয়েন্ট এখন ৯।