প্রতিবছর প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট
দুর্যোগের ফসল ও গবাদি পশুর ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। বছরে
প্রায় ১২ হাজার কোটি ডলার মূল্যের ফসল ও গবাদি পশুর ক্ষতি হচ্ছে বলে দাবি করেছে সংস্থাটি।
এএফপির এক প্রতিবেনে এ চিত্র উঠে এসেছে।
এক গবেষণা প্রতিবেদনে এফএও জানিয়েছে, ১৯৯১ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত বন্যা,
খরা, পোকামাকড়ের হামলা, ঘূর্ণিঝড়, রোগবালাই ও যুদ্ধের জন্য প্রতিবছর গড়ে ১২ হাজার ৩০০
কোটি ডলার মূল্যের ফসল উৎপাদন কমেছে। এর অর্থ, বাৎসরিক মোট উৎপাদনের পাঁচ শতাংশই উৎপাদন
কমেছে। এ ফসল দিয়ে বছরে ৫০ কোটিরও বেশি মানুষকে খাওয়ানো যেত।
এএফপি বলছে, এবারই প্রথমবারের মতো প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের সহযোগী
কোনো সংস্থা। দুর্যোগের জেরে বিশ্বের খাদ্য উৎপাদনে কতটুকু ক্ষতি হয়, তা এর মাধ্যমে
স্পষ্ট হয়।
এফএওয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের উপপ্রধান পিয়েরো কনফ্রাটি এএফপিকে বলেন, ‘১৯৭০
সালের পর থেকে প্রাকৃতিক দুর্যোগের পরিমাণ চারগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ক্রমাগত দুর্যোগের
প্রভাব পড়েছে খাদ্য উৎপাদনেও।’
আগের তুলনায় দুর্যোগের পরিমাণ বৃদ্ধি ও তীব্রতা বেড়েছে বলে গবেষণাটির সময়
জাতিসংঘের সহযোগী সংস্থাটি খুঁজে পায়। সবশেষ ২০ বছরে বিশ্বজুড়ে ৪০০টিরও বেশি দুর্যোগ
আঘাত হেনেছে। এ ছাড়া মানুষ ও গবাদি পশুর মধ্যে রোগের হার বাড়ছে।
অঞ্চলভিত্তিক দিক থেকে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে এশিয়া। দুর্যোগের
কারণে এ অঞ্চলের কৃষিজ উৎপাদন চার শতাংশ কমেছে। এ অঞ্চলের মোট কৃষি খাতের ৪৫ শতাংশকে
দুর্যোগের মোকাবিলা করতে হয়। এ ছাড়া খরার কবলে ‘হর্ন অব আফ্রিকার’ দেশগুলোর কৃষিজ উৎপাদন
কমেছে গড়ে ১৫ শতাংশ।
আরআই