দাম্পত্য কলহের জেরে শিমুকে হত্যা করেন নোবেল

১৮ জানুয়ারী ২০২২

অবশেষে চিত্রনায়িকা রাইমা ইসলাম শিমু হত্যার জট খুলল। লাশ উদ্ধারের একদিন পরই গ্রেফতার করা হয় স্বামী খন্দকার শাখাওয়াত আলিম নোবেল ও তার ড্রাইভারকে। মঙ্গলবার দুপুরে পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে শিমুকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন নোবেল। দাম্পত্য কলহের জেরে শিমুকে নোবেল হত্যা করা হয় বলে স্বীকার করেছেন নোবেল।

 

আজ দুপুরে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার মো মারুফ হোসেন সরদার।

 

তিনি বলেন, গত রোববার সকাল সাতটা থেকে আটটার মধ্যে যেকোনো সময় শিমুকে হত্যা করা হয়। শিমুকে হত্যার পর লাশ ঢাকার বাইরে ফেলতে নোবেলকে সহায়তা করে তার বন্ধু ফরহাদ। যে গাড়ি ব্যবহার করে শিমুর লাশ গুমের চেষ্টা করা হয়েছে সে গাড়ি জব্দ করে থানায় নিয়েছে পুলিশ। অন্যান্য আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে।

 

এর আগে সোমবার দুপুরে হজরতপুর ব্রিজের কাছে আলিয়াপুর এলাকা থেকে শিমুর বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করা হয়। স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে বস্তাবন্দি উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়। সোমবার রাতে শিমুর বড় ভাই শহিদুল ইসলাম খোকন ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালের মর্গে গিয়ে মরদেহ শনাক্ত করেন।

 

পরে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নোবেল ও তার বন্ধু ফরহাদকে আটক করেছে পুলিশ।

 

স্বামী ও দুই সন্তানকে নিয়ে রাজধানীর গ্রিনরোড এলাকার বাসায় থাকতেন ৪০ বছর বয়সী শিমু। রোববার সকালে বাসা থেকে বেরিয়ে তিনি আর ফেরেননি।

 

এ ঘটনায় কেরানীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি চলছে। শিমু নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে রাজধানীর কলাবাগান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) হয়েছিল।

 

আরআই


মন্তব্য
জেলার খবর