সিজারের সময় প্রসূতির জরায়ু কাটলেন ডা. আইরিন

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
১৫ অক্টোবর ২০২৩

সিজার করার সময় আইরিন রহমান নামের এক প্রসূতির জরায়ু কেটে বাদ দিয়েছেন সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজের চিকিৎসক আইরিন সুলতানা। তিনি। ভুক্তভোগীর অবস্থা বর্তমানে সঙ্কটাপন্ন। এ ঘটনায় রোগীর স্বজনদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।

রোববার (১৫ অক্টোবর ) দুপুরে বিষয়টি গণমাধ্যমকর্মীদের জানায় ভুক্তভোগীর স্বামী। এর আগে বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর ) দুপুরে সাতক্ষীরা শহরের বুশরা হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে।

আইরিন রহমান সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়ার উপজেলার গুগা গ্রামের আব্দুল্লাহ্ আল মামুনের স্ত্রী। আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে তার স্ত্রীর প্রসব বেদনা উঠলে বুশরা হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে ডা. আইরিন সুলতানাকে দিয়ে সেখানো সিজার করানো হয়। সিজারের পর থেকে তার স্ত্রীর রক্তক্ষরণ শুরু হয়। বিষয়টি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানালে পুনঃরায় অপারেশন থিয়েটারে নেওয়া হয় রোগীকে। কিন্তু সেখান থেকে রোগীকে কেবিনে দেওয়ার পরও রক্তক্ষরণ চলতে থাকে। পরে জানা যায়, তার স্ত্রীর জরায়ুর নাড়ি কেটে ফেলা হয়েছে।

বিষয়ে  বুশরা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চাইলে তারা নানা ধরনের অসঙ্গতিপূর্ণ কথার্বাতা বলছেন বলে জানান আব্দুল্লাহ্ আল মামুন। বিষয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তিনি।

এদিকে এ ঘটনার দায় এড়িয়ে  বুশরা হাসপাতালের ব্যবস্থাপক আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, সিজার করার পর অনেক রোগীদের রক্তক্ষরণ  হয়। আইরিন নামের রোগীর ক্ষেত্রেও এমন ঘটনা ঘটেছে। দুই দফায় চেষ্টার পর যখন চিকিৎসক ব্যর্থ হয়েছেন, তখন সিনিয়র কনসালটেন্ট শরিফুল ইসলামকে জানানো হয়। তিনি এসে যেটা ভাল মনে করেছেন, সেটা করেছেন। রোগীর অভিভাবকের অনুমতি ছাড়া কীভাবে জরায়ু নাড়ির  কাটা হলো- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, জরায়ু কাটার বিষয়ে আমাদের হাসপাতালে কোন নিয়মনীতি নেই। এ বিষয়ে কথা বলার জন্য অভিযুক্ত চিকিৎসক আইরিন সুলতানার মোবাইল নম্বরে ফোন দিলে তিনি রিসিভ করেননি।

সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডা. আবু  সুফিয়ান রুস্তম জানান, জরায়ু নাড়ি কাটার প্রয়োজন হলে অবশ্যই রোগীর স্বজনদের  অনুমতি প্রয়োজন যদি অনুমতি ছাড়া করা হয়, তাহলে সেটা অপরাধ ঘটনা তদন্ত সাপেক্ষ তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

বিডি/কিশোর কুমার/সি/এমকে

 


মন্তব্য
জেলার খবর