দেশে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রত্যাশিতভাবে গ্রহণযোগ্য, অন্তর্ভুক্তি ও অংশগ্রহণমূলক হওয়া নিয়ে বাড়ছে শঙ্কা। এর পেছনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের ভোল পাল্টানো অবস্থান ও বক্তব্যকে দুষছেন টিআইবি (ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ)।
রোববার (১৫ অক্টোবর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সিইসির বক্তব্যের সমালোচনার পাশাপাশি এ আশঙ্কার কথা জানায় টিআইবি। বিজ্ঞপ্তিতে টিআইবির পক্ষ থেকে বলা হয়, গেল ১৪ অক্টোবর সিইসি বলেছেন- সব দলের অংশগ্রহণ না থাকলেও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব। এর দুই দিন আগে আন্তর্জাতিক এক সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি নির্বাচনে না আসলে নির্বাচন অসম্পূর্ণ থেকে যেতে পারে। তার বারংবার এ অবস্থান পাল্টানো সন্দেহজনক ও বিভ্রান্তিমূলক বলে মনে করছে টিআইবি।
টিআইবি থেকে বলা হয়েছে, একদিকে দলীয় চিন্তার ঊর্ধ্বে থেকে পুলিশ ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের নির্বাচনে কাজ করার নির্দেশনা দিয়েছেন সিইসি। অন্যদিকে বলেছেন, "কে নির্বাচনে আসলো, কে আসলো না..., ভোটাররা যদি আসেন, তারা ভোট প্রয়োগ করেন, তাহলেই নির্বাচনের একটা বড় সফলতা...", তার এ বক্তব্য বাস্তবে দলীয় পক্ষপাতিত্বের প্রতিফলন। এমন বক্তব্য দেশবাসীর মধ্যে হতাশা বাড়াচ্ছে। সাংবিধানিক সংস্থার প্রধানের এমন অবস্থানে সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন বিষয়ে জনগণের প্রত্যাশা পূরণ নিয়ে আশঙ্কার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। জনগণ ভোট দিলেই বড় সফলতা— এটা যেমন সঠিক, তেমনি জনগণের ভোটে অংশগ্রহণের উপযোগী পরিবেশ সৃষ্টিতে সমান প্রতিযোগিতার ক্ষেত্র নিশ্চিত সাপেক্ষে বাস্তব অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনী পরিবেশ সৃষ্টিও অপরিহার্য।
টিআইবি মনে করছে, নির্বাচনকালীন সরকারের পাশাপাশি প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নিরপেক্ষ ও স্বার্থের দ্বন্দ্বের ঊর্ধ্বে ভূমিকা পালনের উপযোগী পরিবেশ সৃষ্টির সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যে সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা ও পরামর্শমূলক কর্মকাণ্ডে ইসির অগ্রসর হওয়া উচিত। আগের জাতীয় নির্বাচনগুলোর অভিজ্ঞতার পরিপ্রেক্ষিতে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন অংশগ্রহণ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক হওয়া সবচেয়ে বেশি জরুরি। কেননা শুধু আইনগত বাধ্যবাধকতা নিশ্চিতের মাধ্যমে নির্বাচন শেষ করলে তাতে জনগণের প্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটবে না। তাই জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী অংশগ্রহণমূলক, সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনের সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনে ইসির কাছে আরও বেশি উদ্যোগ প্রত্যাশা করছে সংস্থাটি।
বিডি/এন/এমকে