ধান উৎপাদনে নতুন রেকর্ড

রবি
১৬ অক্টোবর ২০২৩

দেশে ধান উৎপাদনে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে বোরো মৌসুমে দুই কোটি সাত লাখ টন ধান উৎপাদিত হয়েছে, যা আগের অর্থবছরের তুলনায় তিন শতাংশ বেশি। এ ছাড়া মোট চাল উৎপাদন দুই দশমিক পাঁচ শতাংশ বেড়ে তিন কোটি ৯১ লাখ টনে দাঁড়িয়েছে। এটি এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ রেকর্ড।

 

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) বোরো ধান উৎপাদনের এক প্রতিবেদনে সম্প্রতি এ তথ্য উঠে এসেছে।

 

বিবিএস জানিয়েছে, সাত বছর আগে বাংলাদেশে চালের মোট উৎপাদন ছিল তিন কোটি ৩৮ লাখ টন। এরপর ২০১৭-১৮ অর্থবছর থেকে ফসল উৎপাদন সামগ্রিকভাবে বেড়েছে।

 

পাশাপাশি ২০২২-২৩ অর্থবছরে দেশের মোট ধানি জমির ৮১ শতাংশে উচ্চ ফলনশীল ধান চাষ হচ্ছে। ২০০৯-১০ অর্থবছরে তা ছিল ৭৩ শতাংশ। অন্যদিকে, উচ্চ ফলনশীল ও স্থানীয় জাতের তুলনায় বেশি ফলন দেওয়া হাইব্রিড ধানের চাষ ২০০৯-১০ অর্থবছরের ছয় শতাংশ থেকে বেড়ে ২০২২-২৩ অর্থবছরে ১০ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।

 

দেশে আধুনিক সরঞ্জাম ও উচ্চ ফলনশীল জাতের বীজের ব্যবহারের ফলে উৎপাদন বেড়েছে জানিয়ে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিআরআরআই) সাবেক মহাপরিচালক জীবন কৃষ্ণ বিশ্বাস বলেছেন, এ ছাড়া সরকার ভর্তুকি দেওয়ায় সার ব্যবহার সুষম হচ্ছে। পাশাপাশি কৃষকরা পরিবারের সারা বছরের খাবার নিশ্চিতসহ বাড়তি উপার্জনের আশায় ফসল উৎপাদনে আরও যত্নবান হয়েছেন।

 

ফলন বেশি হওয়ায় আমদানির ওপর চাপ কমবে জানিয়ে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ব্যবসা ও বিপণন বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, দেশে ডলার ঘাটতির কারণে রিজার্ভ যখন চাপে আছে তখন ফলন বেশি হওয়ায় চাল আমদানির প্রয়োজনীয়তা কমেছে। আমদানি বাড়লে চালের দামও বেড়ে যেত। এতে দরিদ্র মানুষের ওপর বাড়তি চাপ পড়তো।

 

 

আরআই


মন্তব্য
জেলার খবর