প্রতিকী ছবি
দেশে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় এগিয়ে আসছে, সাড়ে তিন মাসের মতো সময় বাকি আছে আর। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনকালীন সরকারের অধীনে এ নির্বাচন হবে। তাই দেশেবাসীর মাঝে বিশেষ করে রাজনৈতিক পাড়ায় জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়েছে- কেমন হবে নির্বাচনকালীন সরকারের আকার। প্রশ্ন দেখা দিয়েছে- প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন এ সরকারে কারা থাকছে, কাদের জায়গা হতে পারে।
এদিকে নির্দলীয় তত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থায় এ নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্তে এখনও অনড় অন্যতম প্রধান বিরোধী দল বিএনপি। তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন হতে না দেওয়ার কথা বলছে। নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে এখন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি পরস্পর বিপরীতমুখী অবস্থানে। এ অবস্থান রাজনীতিতে সংকট তৈরি করতে পারে বলে মনে করছেন দেশি-বিদেশি রাজনীতি বিশ্লেষকরা। এ পরিস্থিতিতে পারস্পারিক আস্থা ফিরিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচনের পরামর্শ বিদেশি নির্বাচক পর্যবেক্ষকদের।
জানা গেছে, নির্বাচনকালীন সরকারের আবহ আনতে বর্তমান মন্ত্রিসভায় রদবদল আনা হতে পারে। সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী দলগুলো নিয়ে এ সরকার গঠনের সম্ভাবনা আছে। অনেকে ভাবছেন, ২০১৩ সালের আদলে ‘সর্বদলীয় সরকার’ গঠন হতে পারে। তবে নির্বাচনকালীন সরকারের আকারের বিষয়টি একমাত্র প্রধানমন্ত্রীর বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক।
মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ বিষয়টি খোলাসা করেছেন আইনমন্ত্রী। রাজধানী ঢাকার সচিবালয়ে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন তিনি।
আইনমন্ত্রী জানান, সংবিধানে নির্বাচনকালীন সরকারের বাধ্যবাধকতা নেই। প্রধানমন্ত্রীকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার দিয়েছে সংবিধান। এটা সম্পূর্ণ প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ার। নির্বাচনকালীন তার কতজন মন্ত্রী প্রয়োজন কিংবা কতজন প্রয়োজন হবে না- তিনিই সিদ্ধান্ত নেবেন।
মন্ত্রী আনিসুল হক আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সবাইকে (বর্তমান মন্ত্রিসভার) প্রয়োজন হলে সবাই থাকবেন। আর যদি মনে করেন- ছোট আকারে করবেন, সেটাও তার এখতিয়ার।
বিডি/এন/এমকে