উপাধ্যক্ষ নিয়োগে অনিয়ম, বেরিয়ে পড়লো অধ্যক্ষেরও থলের বিড়াল

মো.সম্রাট হোসাইন,পঞ্চগড় থেকে
১৮ অক্টোবর ২০২৩

অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার আশ্রয়ের মাধ্যমে পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার ভাউলাগঞ্জ দারুচ্ছালাম নেছারিয়া আলিম মাদ্রাসা উপাধ্যক্ষ নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

এ অনিয়মের ঘটনা ফাঁস হওয়ার পরে বেরিয়ে পড়েছে অধ্যক্ষ পদের নিয়োগের অনিয়মটিও। এ নিয়ে এলাকায় নানা গুঞ্জনের পাশাপাশি ক্ষোভ বিরাজ করছে। অনিয়মের সঙ্গে জড়িতদের বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি স্থানীয়দের।

অভিযোগে জানা গেছে, সভাপতি ডিজি প্রতিনিধির স্বাক্ষর জাল করে উপাধ্যক্ষ পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে শহিদুল ইসলামকে। সভাপতিকে না জানিয়ে এ পদের পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে পার্বতীপুরে। শুধু তাই নয়, অভিজ্ঞতার বিষয়েও ছলচাতুরির আশ্রয় নেওয়া হয়েছে। এ পদের জন্য দেওয়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে প্রার্থীর অভিজ্ঞতা থাকার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়। কিন্তু অভিজ্ঞতা না থাকলেও শহিদুল ইসলামকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এসব কাজের কাজী হচ্ছেন অধ্যক্ষ। উপাধ্যক্ষ নিয়োগে অনিয়মের বিষয়টি জানতে পেরে গভর্নিং বডি সভাপতি আজম উল করিম নিয়োগ মাদ্রাসার আয়-ব্যয় সম্পর্কে অধ্যক্ষের নিকট জানতে না। কিন্তু অধ্যক্ষ জবাব না দিয়ে সভাপতিকে লাঞ্ছিত করেন।

এরপরেই বেরিয়ে আসে  অধ্যক্ষ আজিবুর রহমানের নিয়োগেও অনিয়মের বিষয়টি। জানা যায়,মাদ্রাসাটির সুপারিন্টেন্ডেন্ট নিয়োগের জন্য দৈনিক সংগ্রাম পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয় ১৯৯০ সালে। কাম্য শিক্ষাগত যোগ্যতা বিএসসি, বিএ, সহকারী মোদারেছ কামিল দ্বিতীয় বিভাগের পাশাপাশি ৫ বছরের অভিজ্ঞতা চাওয়া হয় এ পদে। কিন্তু আজিবুর রহমান কামিল পাশ করেন ১৯৮৯ সালে। অভিজ্ঞতা সম্পন্ন প্রার্থী না পেলে নিয়ম হচ্ছে পুনরায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা। কিন্তু নিয়ম অনুসরণ না করে অবৈধভাবে আজিবুর রহমানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। এছাড়াও পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করেন দুজন প্রার্থী। বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসনে বারবার অভিযোগ করেও কোন সুরাহ হয়নি। পরবর্তীতে মাদ্রাসাটি দাখিল থেকে আলিম হলে সুপারিন্টেন্ডেন্ট থেকে দায়িত্ব পালন করেন অধ্যক্ষের।

নিয়োগ প্রাপ্ত উপাধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম জানান, নিয়োগ পরীক্ষায় ডিজির প্রতিনিধি ছিলেন বগুড়া সরকারি মুস্তাফারিয়া আলিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ। তবে অধ্যক্ষ মোখলেছুর রহমান বলেন, ওই মাদ্রাসার নিয়োগ সম্পর্কে আমার জানা নেই।

মাদ্রাসা গভর্নিং বডি সভাপতি আজম উল করিম জানান,অধ্যক্ষ নিয়োগের বিষয়টি জানি না। উপাধ্যক্ষ নিয়োগ দিয়েছে অধ্যক্ষ,  আমার স্বাক্ষর জাল করে তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। অধ্যক্ষ আমাকে বলেছেন এ পদে কোন নিয়োগ হয় না, পদন্নোতিতে হয়।

দেবীগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সলিমুল্লাহ জানান, ওই মাদ্রাসার বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ। অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেন তার ছেলে। নিয়োগের বিষয়ে আমাদের কিছু জানায়নি।

 

বিডি/সি/এমকে


মন্তব্য
জেলার খবর