ঢাকার বাইরে বাড়ছে আক্রান্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক
২০ অক্টোবর ২০২৩

মৌসুমের শুরুতেই এ বছর ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। দিন যত যাচ্ছে, ততই চোখ রাঙানি বাড়ছে। অতীতের সব রেকর্ড এবার ছাড়িয়েছে। ঢাকার বাইরেও বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা। গত ৮-১৪ অক্টোবর পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের মধ্যে ৭৬ ভাগ ঢাকার বাইরে থেকে এসেছেন। গত ২৪ ঘণ্টাও ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে এক হাজার ৮৩৫ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন।

এদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে দেশের ৬৪ জেলায় সপ্তাহব্যাপী পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা সপ্তাহ ক্যাম্পেইনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। ক্যাম্পেইনটি শুরু হচ্ছে আগামী ২৯ অক্টোবর, ৪ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে। এ কার্যক্রম বাস্তবায়নে ১৮ হাজারের বেশি স্বেচ্ছাসেবক কাজ করবে।

বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) রাজধানী ঢাকার একটি হোটেলে দেশব্যাপী ডেঙ্গু প্রতিরোধ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা সপ্তাহ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন স্থানীয় সরকার সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে কার্যক্রম চলছেই। কিন্তু বড় প্রভাব ফেলছে মানুষের সচেতনতার অভাব। বাসা-বাড়ি পরিচ্ছন্ন রাখার কথা বারবার বলা হলেও যেভাবে হওয়ার কথা তা হচ্ছে না।

মন্ত্রী তাজুল জানান- কিভাবে মশা নিয়ন্ত্রণ করা যায়, মেয়রদের সঙ্গে বসে সেই উপায় বের করার চেষ্টা করছি, আমরা থেমে নেই। বিশ্বের অনেক দেশের তুলনায় আমাদের অবস্থা ভালো হলেও অন্য বছরের তুলনায় বছর আমাদের অবস্থার অবনতি হয়েছে। এটা প্রতিরোধই বড় চ্যালেঞ্জ এখন।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, এডিস মশা প্রতিরোধে অবশ্যই বছরব্যাপী কার্যক্রম থাকতে হবে। আমরা আমাদের কাজ করছি, সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। সামাজিক বিপ্লব ছাড়া এর থেকে উত্তরণ কঠিন।

ডেঙ্গু চিকিৎসার জাতীয় নীতিমালার প্রধান অধ্যাপক ডা. কাজী তারিকুল ইসলাম বলেন, পৃথিবীর যে কোনো দেশের তুলনায় এবার দেশে মৃত্যু বেশি। গত বছর ভয়াবহ ছিল, বছর আরও ভয়ংকর রূপ নিয়েছে। এর অন্যতম কারণ থেমে থেমে বৃষ্টি, জলবায়ু পরিবর্তন। আগামী বছর যেন এবারের মতো দুর্যোগে পড়তে না হয়, সেজন্য এডিসের লার্ভা ধ্বংস করতে হবে। তিনি বলেন, সবচেয়ে বড় সংকট সমন্বয়হীনতা। শুধু ডেঙ্গু নয়, সমন্বিত কার্যক্রমের অভাবে অনেক কিছুই সফল হচ্ছে না বলে মন্তব্য করেন তিনি।

ওদিকে স্বাস্থ্য অধিদফতরের হিসাবে, দেশে এখন পর্যন্ত দুই লাখ ৪৮ হাজার ৫৪৩ জন ডেঙ্গু রোগী বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ৯৪ হাজার ১৯৪ জন এবং ঢাকা মহানগরীর বাইরের হাসপাতালগুলোতে এক লাখ ৫৫ হাজার ৩৪৯ জন চিকিৎসা নিয়েছেন। এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত এক হাজার ২১৪ জন মারা গেছেন। হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন দুই লাখ ৪০ হাজার ৯৭ জন।

 

বিডি/এন/এমকে

 


মন্তব্য
জেলার খবর