অধ্যক্ষ পদে প্রার্থী বাছাইয়ে অনিয়ম

মো.সম্রাট হোসাইন,পঞ্চগড় থেকে
২০ অক্টোবর ২০২৩

পঞ্চগড় সদর উপজেলার আমলাহার ডিগ্রি কলেজে অধ্যক্ষ পদে প্রার্থী বাছাইয়ে অনিয়ম করা হয়েছে। এ পদে ১১ জন প্রার্থী আবেদন করলেও নীতিমালা বহির্ভূতভাবে জনের আবেদন বাদ দেওয়া হয়েছে। নিয়োগ পরীক্ষীয় প্রক্সি দেওয়ার জন্য ৫ জন অধ্যক্ষ একজন উপাধ্যক্ষের নাম রাখা হয়েছে। এমন অভিযোগ এলাকাবাসীর। এনিয়ে বাদ পড়া প্রার্থীসহ স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।

জানা যায়, ২০২১ সালের ২৪ অক্টোবর এ কলেজের অধ্যক্ষ পদে  নিয়োজ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, সরকারি বিধি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিমালা অনুযায়ী আবেদন করতে বলা হয় যোগ্য প্রার্থীদের।নিয়ম মেনে পাঁচজন আবেদন করেন। কিন্তু নিয়োগ পরীক্ষা না নিয়ে পুনঃনিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয় ২০২৩ সালের ১২ সেপ্টেম্বর। সেখানে বলা হয়, ইতোমধ্যে এ পদে যারা আবেদন করেছেন, তাদের পুনরায় আবেদন করার প্রয়োজন নেই। ফলে মোট আবেদনকারীর সংখ্যা দাঁড়ায় ১১ জন। পরবর্তীতে বাছাই কমিটি ৫ জনের আবেদন বাতিল করে দেয়। বাছাইকৃত ছয়জন প্রার্থী হলেন- জগদল ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ আবু তালেব মানিক,বলরামপুর আদর্শ মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ গোলাম মস্তফা,বোদা মহিলা মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ আশরাফুল ইসলাম, ভজনপুর ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ হাবিবুর রহমান, আমলাহার ডিগ্রি কলেজের উপাধ্যক্ষ জ্যোতিষ চন্দ্র রায়। বাছাই কমিটির আহবায়ক শফিকুল ইসলাম বাছাইয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গুঞ্জন রয়েছে, উপাধ্যক্ষ জ্যোতিষ চন্দ্র রায় অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ পেতে কলেজের সভাপতি তার আপন চাচাসহ নীল নকশা একেঁছেন। জ্যোতিষ চন্দ্র রায়ের নামে দুইটি হত্যা মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে বলে জানায় এলাকাবাসী।

বাছাইয়ে বাদ পড়া প্রার্থীদের একজন, সহকারী অধ্যাপক গোলাম মস্তফা মজুমদার বলেন, নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী অধ্যক্ষ পদে আবেদন করেছিলাম। এখন শুনেছি, আমাকে বাছাই কমিটি বাদ দিয়েছেন।

বাছাইকৃত প্রার্থীদের একজন বোদা মহিলা মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ আশরাফুল ইসলাম জানান, ওরা আবেদন করতে বলেছেন। এজন্য আবেদন করেছি। বুঝেন না এটা একটা সিস্টেম।

কলেজটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রমো চন্দ্র রায় জানান, এখনো বাছাই শেষ হয়নি। গভর্নিং বডির সভাপতি নরেশ চন্দ্র রায় জানান, অধ্যক্ষ পদে যারা আবেদন করেছেন, তাদের জন নীতিমালার আওতায় না পড়ায় বাদ দেওয়া হয়েছে।

বিডি/সি/এমকে


মন্তব্য
জেলার খবর