একমাত্র পেঁপে ছাড়া বেশিরভাগ সবজির দাম এখন ৫০ টাকার ওপরে। পেঁয়াজ কিনতে হচ্ছে ৯০-১১০টাকা আর কাঁচা মরিচ ১৬০-২০০ টাকা কেজি। প্রায় পাঁচ ধরনের সবজি দাম এখন শ’য়ের উপরে। কাঁচাবাজারের এমন পরিস্থিতিতে নাভিশ্বাস উঠেছে ভোক্তার।
এদিকে আলু, পেঁয়াজ আর ডিমের ক্ষেত্রে বেঁধে দেওয়া দর একদিনের জন্য প্রভাব ফেলেনি বাজারে। বরং বেধে দেওয়ার আগের দরের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে এখন। বাজার সিন্ডিকেটের কাছে বাজার মনিটর সংশ্লিষ্টরা অসহায় হয়ে পড়ায় ক্ষোভ বাড়ছে সাধারণ মানুষের মাঝে।
শুক্রবার (২০ অক্টোবর) রাজধানী ঢাকার কয়েকটি বাজারের তথ্য বলছে, বেগুন ৮০ থেকে ১০০ টাকা, কড়লা ১০০, পটল ৮০, চিচিঙ্গা ৮০, ঢেঁড়স ৮০, কাকরোল ৮০, বটবটি ১০০, শশা ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। শীতের সবজি শিম ২০০, গাজর ১০০, টমেটো ১৩০ টাকা ও কাঁচা মরিচ ২০০ টাকা কেজি আর বাঁধাকপি ও ফুলকপি পিস ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মুলার কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা। পেঁয়াজ ১০০ থেকে ১১০ টাকা, আলু ৫০ টাকা আর রসুন ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। যদিও ঢাকার বাইরে বেগুন, পটল, চিচিঙ্গা, ঢেঁড়সের কেজি ৬০-৮০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। পেঁপে বিক্রি হচ্ছে মানভেদে ২৫-৩০ টাকা কেজি দরে।
রাজধানীতে বসবাসকারীরা বলছেন, বেশিরভাগ সবজির দাম এখন ৮০ টাকার উপরে। কেবল পেঁপের দামই কম, ৩০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। সবজির দাম এর আগে কখনো এতো বেশি দেখা যায়নি। সবজিও এখন সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। সাধারণ ভোক্তাদের মধ্যে কেজি পরিমাণ সবজি এখন কম লোকই কিনে খাচ্ছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় দাম বেড়েছে। কিছুদিন আগে টানা কয়েকদিন বৃষ্টি হয়েছে সারা দেশে। এতে আবাদি জমিতে পানি জমে সবজির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এ কারণেই বাজারে সবজির আমদানি কম।
ওদিকে রবি মৌসুমের ফসল ঘরে না আসা পর্যন্ত খাদ্যপণ্যের দাম আপাতত কমার কোনো সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। আশা প্রকাশ করেছেন, আগামী বছরের শুরুতেই সংকট সব কাটিয়ে স্বাভাবিক হবে নিত্যপণ্যের বাজার।
বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, আলু, পেঁয়াজ ও ডিমের দাম নির্ধারণ করলেও তা ধরে রাখা সম্ভব হয়নি। তবে এক দেড় মাসের মধ্যেই দাম কমে আসবে পেঁয়াজের। আলুর দামও নিয়ন্ত্রণে সরকার চেষ্টা করছে। কোল্ডস্টোরেজে থাকা আলুর পরিমাণ পর্যালোচনা করে বাজার নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে। বাজারে আগাম আলু আসলেই দাম কমে আসবে বলেও মনে করছেন তিনি। আমদানি কমে যাওয়ায় কিছু খাদ্যপণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী হলেও বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের সুপরিকল্পনা রয়েছে। চেষ্টাও আছে মন্ত্রণালয়।
বিডি/ই/এমকে