দীর্ঘস্থায়ী সুস্থতা পেতে চাইলে ভোরে ওঠার অভ্যাস করতে হবে। প্রতিটি ধর্মেও ভোরে জেগে ওঠার তাগিদ আছে। সুবহে সাদেক বলি বা ব্রহ্মমুহূর্ত, প্রকৃতিও প্রশান্ত থাকে এ সময়।
গবেষণায় দেখা গেছে, ভোরে বিছানা ছেড়ে উঠলে পাওয়া যায় ৪ উপকার। এর মধ্যে-
১) স্বাস্থ্যকর ডায়েটের জন্য ভোরে ওঠা ভালো। ঘুম থেকে তাড়াতাড়ি উঠলে সকালে নাশতাটা মিস হয় না। কারণ নানা কাজের ফলে ক্ষুধা লেগে যায় আর সঠিক সময়ে সকালের নাস্তা খাওয়া হয়।দেরিতে উঠলে তাড়াহুড়োই না খেয়েই বেরিয়ে যাই আমরা। সময় নিয়ে পেট পুড়ে খেয়ে বের হলে শিঙাড়া-পুরি খেয়ে পেট ভরানোরও দরকার পরে না।
২) ভোরে উঠলে কর্মশক্তি মেলে বেশি। ভোরের উঠলে শরীরে উপকারী হরমোনের নিঃসরণ বাড়ে, হৃদ্যন্ত্র ভালো থাকে, রক্তের সুগার থাকে নিয়ন্ত্রিত। রক্তচাপও কমে যায় কারণ রাতে ভালো ঘুম হয়। মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়ে, পেশীর দক্ষতা বাড়ে। সব মিলিয়ে কর্মশক্তি বেশি পাওয়া যায়।
৩) সুস্থ ও সুন্দর ত্বকের জন্য ভোরে ওঠতে হয়। রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে ভোরে উঠলে ত্বক ফিরে পায় লাবণ্য। আবার এ সময় নিজের মতো করে কিছু সময় পাই। তাই ত্বকের যত্নও নেওয়া যায় অনায়াসে। ভোরে উঠলে হজম ও মেটাবলিজম ভালো থাকে, কোষ্ঠকাঠিন্য পরিষ্কার হয়। তাই পিম্পল ও ডার্ক সার্কেল দূর হয়।
৪) ব্যায়ামের জন্য সময় পাওয়া যায় যথেষ্ট। ভোরের বাতাসে বাইরে ইয়োগা করা বা হাঁটার মজাই আলাদা। ভোরে উঠলে সময় পাওয়া যায় তাই ব্যায়ামেরও সুযোগ পাওয়া যায়।
তথ্যসূত্র: ভেরি ওয়েল ফিট