কাজ না করেই টিআর প্রকল্পের টাকা উত্তোলন

মো.সম্রাট হোসাইন,পঞ্চগড় থেকে
২২ অক্টোবর ২০২৩

পঞ্চগড় সদর উপজেলায় কোনো কাজ না করেই গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ টিআর কর্মসূচির বেশ কয়েকটি প্রকল্পের টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। এ টাকা প্রকল্প সংশ্লিষ্ট দফতরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ভাগাভাগি করে নিয়েছেন। এমন অভিযোগ এলাকাবাসীর। এদিকে কাগজ-কলমে দেখানো প্রকল্পের সভাপতিরা নিশ্চিত করেছেন,  তারা জানেন না- প্রকল্প তাদের নামে দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্ত করে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়ার জোর দাবি জানিয়েছেন প্রকল্প সভাপতিসহ স্থানীয়রা।

জানা যায়, ২০২২-২৩ অর্থবছরে কর্মসূচির আওতায় সদর উপজেলার হাফিজাবাদ ইউনিয়নে দেড় লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয় মাধইপাড়া হবি পাইকারের বাড়ি হতে পূর্বদিকে মনছুরের বাড়ি হয়ে পাঁকা রাস্তা পর্যন্ত সংস্কার কাজে,  চাকলাহাট ইউনিয়নে লাখ ৩৭ হাজার ৩৬২ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয় মেহেরপাড়া শুকুরুর বাড়ি হতে পশ্চিমে রুবেলের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা সংস্কারের জন্য, পঞ্চগড় সদর ইউনিয়নে লাখ টাকা বরাদ্দ ছিল বলেয়াপাড়া জালাসী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ সংস্কার, লাখ টাকা বরাদ্দ আইয়ুব মুন্সির বাড়ি হতে গোফাপাড়া শুরু পর্যন্ত রাস্তাটি উঁচুকরন, লাখ ৮০ হাজার টাকা বরাদ্দ কামাত কাজলদিঘী ইউনিয়নের হবিবরের বাড়ি হয়ে পূর্ব পাশে ত্রানের বীজ হয়ে পূর্ব গোয়ালপাড়া রাস্তার কাজে।সম্প্রতি গত দুইদিন সরেজমিনে দেখা যায়, এসব প্রকল্পের কোনটিরই কাজ হয়নি।

মেহেরপাড়া থেকে রুবেলের বাড়ি রাস্তা সংস্কার প্রকল্পের নাম থাকা সভাপতি মো. রাসেল জানান, প্রকল্পের বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। একই কথা বলেন, মাধইপাড়া-মনছুরের বাড়ি প্রকল্পের সভাপতি আব্দুল হামিদ, গোয়ালপাড়া হবিবরের বাড়ি হতে পুর্ব পাশ প্রকল্পের সভাপতি আ়ব্বাস আলী। তবে গোয়ালপাড়া হবিবরের বাড়ি হতে পুর্ব পাশ প্রকল্পের কাজটি উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা কার্যালয়ের কার্য সহকারী আবু হানিফ ওই এলাকার সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্যের স্বামীকে ৫০ হাজার টাকা দিয়ে কোনমতে কাজটি করে নিয়েছেন। আবু হানিফ প্রকল্পের সভাপতি আব্বাস আলী এটা স্বীকার করেন।

জালাসী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাসিবুল ইসলাম স্কুল মাঠ সংস্কার প্রকল্পের বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে জানান।

পঞ্চগড় সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. জিয়াউর রহমান জানান- প্রকল্পের কয়েকটি স্ক্রীম আছে, সেগুলো এখনো কাজ হয়নি। বরাদ্দের টাকাটা যেন ফেরত না যায়, সেটা উত্তোলন করে নির্বাহী অফিসারসহ যৌথ হিসাব নম্বরে রাখা হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.জাকির হোসেন জানান, আমি নতুন যোগদান করেছি। বিষয়ে কিছু জানি না। তবে খোঁজ নিয়ে দেখব।

 

বিডি/সি/এমকে


মন্তব্য
জেলার খবর