বাজারে সব কিছুর দাম বাড়তি। আর দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির পাল্লায় কিছুই জমানো সম্ভব হচ্ছে না। এক খাতে খরচের লাগাম টেনে ধরলে বেড়ে যাচ্ছে অন্য খাতে। আয়ের তুলনায় ব্যয়ের মিল নেই। তাই মাস শেষে ভোগান্তিতে পড়ছেন অনেকে। এমতাবস্থায় একটু পরিকল্পনা করে চলতে হবে। কীভাবে দৈনন্দিন খরচ কমানো যায় সে বিষয় জানা থাকলে কিছুটা হলেও ব্যয় কমানো সম্ভব হবে।
জেনে নিন কিছু উপায়-
১. মোটামুটি কাজে দূরত্ব হেঁটে পার করুন। যেমন- অফিসে যাওয়ার জন্য হেঁটেই বাসস্ট্যান্ডে যান। রিকশা ভাড়া বাঁচান। এছাড়া সকালে হাঁটা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। তবে কিছুটা সময় হাতে নিয়ে বের হতে হবে। প্রতিদিনের সামান্য টাকা বেঁচে মাস শেষে বড়ই হবে।
২. মাসের শুরুতেই বাজেট বানান। সেই বাজেট থেকে ফের কাটছাঁট করুন। কেনার সময়ে দরদাম করে কিনুন। সুপার শুপ বা মল থেকে না কিনে লোকাল মার্কেট থেকে বাজার করুন। এতে বেশ কিছু টাকা বেঁচে যাবে।
৩. অযথা অপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনবেন না। কেনাকাটা করার সময় প্রয়োজনের কথা ভেবেই কিনুন।
৪. মাসের খরচের বাজেট করুন এই মাসের ৫ তারিখ থেকে পরবর্তী মাসের ৫ তারিখ পর্যন্ত। এভাবে সময় বাড়িয়ে বাজেট করলে ঝামেলা ও খরচ দুটোই কম হবে।
৫. যে জিনিস পরেও কাজে লাগবে, তা একসঙ্গে বেশি করে কিনুন। মূল্য ছাড়ের সময় একসঙ্গে বেশি করে কেনাকাটা করে রেখে দিতে পারেন। কোথায় কী কিনলে ছাড় মিলছে খোঁজ রাখুন।
৬. অনলাইন কেনাকাটায় অনেক ধরনের ছাড় থাকে। সে সব খোঁজখবর রাখুন। অনলাইন কেনাকাটায় খরচ কম পড়ে।
৭. দামি দামি রেস্তোরাঁয় খাওয়ার অভ্যাস বাদ দিন। বিশেষ অফার চলছে কিংবা ছাড় পাওয়া যাবে এমন রেস্তোরাঁর খোঁজখবর রাখুন। পরিবার নিয়ে খেতে হলে সে সব জায়গায় যান।
৮. অতি প্রয়োজন না হলে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করা বাদ দিন। সুদের হার অনেক বেশি। মাসের শুরুতে বাজেট করে সেই টাকার মধ্যে কেনাকাটার চেষ্টা করুন।
৯. সেভিংস অ্যাকাউন্টে সামান্য হলেও নিয়মিত টাকা রাখুন। এটা অটোমেটিক ট্রান্সফার হলে ভালো হয়। প্রতি মাসের শুরুতেই নির্দিষ্ট অর্থ মিউচুয়াল ফান্ড বা অন্য কোথাও বিনিয়োগ করুন।
১০. যেদিন নিমন্ত্রণ থাকবে সেদিন বাড়িতে রান্নাবান্নার ঝামেলা কম করুন। আর গিফট কখনো বাজেটের বাইরে গিয়ে কিনবেন না। বাড়িতে কাউকে নিমন্ত্রণ করার ক্ষেত্রেও পরিকল্পনা করে চলুন।