ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন অভিনেত্রী তানিয়া আহমেদ ও গায়ক এস আই টুটুল। সুখী দম্পতি হিসেবেই আখ্যায়িত ছিলেন তারা। তবে সুখের সে ঠিকানা বদলে যায়। তালা পড়ে মনের দরজায়।
দীর্ঘ ২৩ বছর ধরে সুখেই সংসার করছিলেন তানিয়া আহমেদ ও গায়ক এস আই টুটুল। তবে বিচ্ছেদ হয়েছে তাদের। তাও তৃতীয় পক্ষের জন্য। দীর্ঘ পথচলার পরে ২০২১ সালে বিচ্ছেদের খবর দেন এই জুটি।
এ বিষয়ে কিছুদিন আগে এক সাক্ষাৎকারে তানিয়া আহমেদ বলেন, ‘বাস্তব জীবনের আবেগ অনুভূতি অন্যরকম। দুজনের চেষ্টা ছিল সংসারটা টেকানোর কিন্তু সফল হয়নি। মিথ্যা নিয়ে বেশিদিন বসবাসও করা যায় না।’
তানিয়ার ভাষ্যমতে, ‘আমি যে টুটুলকে বিয়ে করেছিলাম সেই টুটুলকেই চেয়েছি, এসআই টুটুলকে চাইনি। ও একবার আমাকে বলেছিল আমার সাকসেস তোমার সহ্য হচ্ছে না। কিন্তু ও আমার ভালোবাসার জায়গাটা বুঝতেই পারল না। আমি জীবনে একটা উইশ পাইলে বলতাম, তুমি সেই আগের টুটুল হয়ে যাও।’
তানিয়া আহমেদ একাধারে মডেল, অভিনেত্রী, পরিচালক ও উপস্থাপিকা। ছবি: তানিয়ার ফেসবুক থেকে সংগৃহীত
এবার সেই বিচ্ছেদ প্রসঙ্গে মুখ মুখলেন এস আই টুটুল। তিনি বলেন, ‘আমি কখনোই বিবাহবিচ্ছেদ চাইনি। বরং তানিয়াই বিচ্ছেদ চেয়েছিল বারবার।’
তিনি বলেন, সে আমাকে বলেছিল, স্বাধীনভাবে জীবন যাপন করতে চায়। সংসারের কোনো বাধ্যবাধকতা সে চায় না। কোথায় যাচ্ছে, কখন ফিরবে এসব প্রশ্ন যেন তাকে না করা হয়। আর এসব অনিয়ম আমি মানতে পারিনি। সে কারণেই আমাদের বিচ্ছেদের পথে হাঁটা।
তারকাখ্যাতি নিয়ে অহংকার দেখাতেন এমন প্রশ্নে উত্তরে টুটুল বলেন, ‘আমি যদি এমন কিছু করে থাকি, তাহলে নিজের অজান্তেই ভুল করেছি। তবে আমার কষ্ট লাগে, যখন আমি বড় বড় অ্যাওয়ার্ড পেতে শুরু করলাম, সেসব অনুষ্ঠানে অনুরোধ করলেও তানিয়াকে কখনো পাশে পেতাম না।’
এ ছাড়া তানিয়াকে ব্লক করার বিষয়ে টুটুল বলেন, ‘তানিয়া আমাকে এই কষ্টের জীবনে ঠেলে দিয়েছে। তাই অভিমান করেই ব্লক করেছি। যে আমাকে তার জীবন থেকেই ব্লক করে দিয়েছে, তার সঙ্গে আর যোগাযোগ থেকেই লাভ কী? এমনটা মনে হয়েছিল আমার।’
অবশ্য বিচ্ছেদের প্রধান কারণ হিসেবে জানা যায়, যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী শারমিন সিরাজ সোনিয়ার সঙ্গে টুটুলের সম্পর্ক। টুটুল যখন যুক্তরাষ্ট্রে ছিল তখন তানিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। এর পর থেকেই তাদের সংসারে অশান্তি শুরু হয়।