দেশে আলোচনার অন্যতম বিষয় এখন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। অন্যতম বিরোধী দল বিএনপি নিরপেক্ষ ও নির্দলীয় তত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচনে না আসার দাবিতে বেকে বসে আছে। বিদেশের বিভিন্ন দেশ অংশগ্রহণমুলক, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্পন্নের জন্য পরামর্শ দিচ্ছে। সরকারেরও ভাষ্য নির্বাচন সবচেয়ে অংশগ্রহণমুলক, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করা। কিন্তু বিএনপিসহ অন্যান্য বিরোধী দল ভোটে না এলে নির্বাচন কতটা অংশগ্রহণমুলক ও বিদেশে গ্রহণযোগ্য হবে, সে প্রশ্নের চুলচেরা বিশ্লেষণ চলছে গ্রামের চাস্টল পর্যন্ত। এমন পরিস্থিতিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছেন, নির্বাচনের প্রত্যাশিত পরিবেশ এখনো নেই। যদিও তার এ কথার সঙ্গে দ্বিমত প্রকাশ করেছেন বেশ কয়েকজন নির্বাচন কমিশনার।
গণমাধ্যম সম্পাদকদের নিয়ে এক কর্মশালায় নির্বাচনের অনুকূল পরিবেশ না থাকার কথা তিনি এবার প্রকাশ্যেই বলেছেন। এর আগে অবশ্য গণমাধ্যমে এনিয়ে ধারণাপত্র দিয়েছিলেন সম্প্রতি।
বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) রাজধানী ঢাকার নির্বাচন ভবনে এ কর্মশালা হয়। সেখানে সিইসি বলেন- ইসির প্রত্যাশা, নির্বাচন আয়োজন করতে চায় আয়োজক হিসেবে। প্রথম থেকেই প্রত্যাশা ছিল, অনুকূল পরিবেশটুকু হয়ে ওঠেনি।
অনধিকার চর্চা ইসি করবে না জানিয়ে নির্বাচন কমিশন প্রধান বলেন, কোনো সংকট সৃষ্টি হলে সেটা নিরসনে অত্যন্ত আন্তরিক ইসি। সব দলকে সংলাপ ও নির্বাচনে আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছিল তারা। কিন্তু অনেকেই সাড়া দেয়নি। রাজনৈতিক দলগুলোর নিজস্ব কৌশল থাকতে পারে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
সিইসি বলেন- আন্তরিক যে পরিবেশ, সেটা অনুকূল হয়ে ওঠুক। এ জন্য নিরন্তর আহ্বান করে যাচ্ছে ইসি। সংলাপ করেছি। যারা আসতে চান না, আমার পক্ষ থেকে আধা সরকারিপত্র দিয়েছি তাদের। কিন্তু সাড়া পাওয়া যায়নি।
কর্মশালায় অন্য নির্বাচন কমিশনার, ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, দ্য ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনাম, বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক নঈম নিজামসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বিডি/এন/এমকে