বিএনপির মহাসমাবেশের দিন শনিবার (২৮ অক্টোবর) রণক্ষেত্রে পরিণত হয় রাজধানী ঢাকার কাকরাইল, নয়াপল্টন, মতিঝিল, ফকিরাপুলসহ বিভিন্ন জায়গা। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সারা দেশে রোববার হরতালের ডাক দিয়েছে বিএনপি আর জামায়াত। বিপরীতে সারা দেশে শান্তি সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে আওয়ামী লীগ। এ অবস্থায় শনিবার ঢাকার সৃষ্ট সংহিসতা ছড়িয়ে পড়তে পারে সারা দেশে। এমন আশঙ্কা প্রকাশ করে কুটনীতিকদের অনেকেই বলছেন, তত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থায় আগামী জাতীয় নির্বাচন আয়োজনে সরকারকে বাধ্য করতে চাচ্ছে সরকার বিরোধীরা। এ জন্য সরকারকে বেকায়দায় ফেলে উদ্দেশ্য হাসিল করতে চাচ্ছে তারা। তাছাড়া মার্কিনি ভিসানীতির ক্ষেত্রে আন্দোলনে ও নির্বাচনে বাধা তথা সহিংসতার গুরুত্ব রয়েছে।
শনিবার ঢাকায় পুলিশ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ চলাকালে এক পুলিশ সদস্যসহ দু’জন নিহত হয়েছেন। পুলিশ-সাংবাদিকসহ আহত হয়েছেন অনেক। সংঘর্ষের জেরে পণ্ড হয় মহাসমাবেশটি। সংঘর্ষই কেবল হয়নি, প্রধান বিচারপতির বাসভবন ও রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্থাপনা ও বাসে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে।
এদিকে শনিবারে পুলিশ ও সাংবাদিকদের ওপর হামলা, গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা ও আগুন লাগানোর ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করতে মাঠে নেমেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। শনিবার (২৮ অক্টোবর) এ তথ্য জানান র্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। খন্দকার আল মঈন জানান- বিভিন্ন তথ্য প্রমাণ, সিসিটিভি ফুটেজ, ছবি বিশ্লেষণ করে দুষ্কৃতিকারী ও সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনা হবে।
ওদিকে ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস শনিবার সংঘটিত রাজনৈতিক সহিংসতার নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রাজনৈতিক সহিংসতায় একজন পুলিশ কর্মকর্তা, একজন রাজনৈতিক কর্মী হত্যা এবং একটি হাসপাতাল পোড়ানোর ঘটনা অগ্রহণযোগ্য। সাংবাদিকসহ বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে সহিংসতাও তেমনই। সম্ভাব্য ভিসা নিষেধাজ্ঞার জন্য সব সহিংস ঘটনা পর্যালোচনা করবে যুক্তরাষ্ট্র।
বিডি/এন/এমকে