দরজায় কড়া নাড়ছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। জানুয়ারির প্রথম সপ্তায় নির্বাচন
হবে বলে মনে করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সবধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে
বলে জানিছে ইসি। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে জবাবে সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেছেন, দেশে
তফসিল ঘোষণার পরিবেশ অবশ্যই আছে। সংবিধানের বিধান অনুযায়ী মেয়াদপূর্তির পূর্বের নব্বই
দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন কমিশন সকল কার্যক্রম সম্পন্ন করছেন।
রবিবার সকাল ১১টায় আগারগাঁও নির্বাচন কমিশন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের
সম্মেলন কক্ষে ভারত, মালদ্বীপ, শ্রীলংকা, নেপালের নির্বাচন কমিশনার এবং ইলেকশন মনিটরিং
ফোরামসহ ৯ জন প্রতিনিধির সাথে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে জাহাঙ্গীর এসব কথা
বলেন।
তিনি বলেন, ইলেকশন মনিটরিং ফোরামের ব্যানারে পাঁচজন বিদেশি মেহমানসহ একটি
প্রতিনিধি দল কমিশনের কাছে আগেই সময় চেয়েছিল। তাদের চাহিদামত আজ ১১টা থেকে মতবিনিময়
অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ইসি সচিব বলেন, প্রতিনিধি দলে ভারতের সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নেপালের
একজন সাবেক নির্বাচন কমিশনারসহ মালদ্বীপ, শ্রীলংকার একজন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও
একজন নির্বাচন কমিশনার এবং নেপালের একজন নির্বাচন কমিশনার উপস্থিত ছিলেন। তাদের দেশে
নির্বাচন পদ্ধতি কিভাবে কাজ করে, আমাদের নির্বাচন কমিশন কিভাবে কাজ করে সেটাই মূলত
তথ্যের আদান-প্রদান হয়েছে। উনারা কিছু প্রশ্নের মাধ্যমে বাংলাদেশের নির্বাচন সম্পর্কিত
বিষয় জানতে চেয়েছিলেন। এটা বাংলাদেস নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ
অন্য নির্বাচন কমিশনার তাদের প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন। এবং বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের
পক্ষ থেকে তাদের কিছু প্রশ্নের উত্তর জানতে চাওয়া হয়েছিল, যে তাদের দেশগুলোতে কিভাবে
নির্বাচন ব্যবস্থা চালু আছে। ইএমএফ কোনো নিবন্ধিত সংগঠন নয়।
কিন্তু তাদের সাথে বৈঠকের যৌক্তিকতা কী? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,
যেহেতু বিদেশি মেহমানসহ আসছেন, সেখানে তিনটা দেশের দুইজন প্রধান নির্বাচন কমিশনার,
একজন নির্বাচন কমিশনার রয়েছে এজন্য কমিশন সৌজন্য সাক্ষাত করা হয়েছে।
কোনো পরামর্শ দিয়েছেন কি-না সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, না।
কোনো পরামর্শ বা সাজেশন কিচ্ছু হয় নাই। মূলত ওই রাষ্ট্রগুলোর নির্বাচন ব্যবস্থা এবং
আমাদের নির্বাচন ব্যবস্থা সম্পর্কে মতের আদান প্রদান রয়েছে।
আরআই