পঞ্চগড় শহর জুড়ে সড়কে ইজিবাইক, ব্যাটারিচালিত তিন চাকার রিকশাভ্যান, নছিমন-করিমন অবাধে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। এসব অবৈধ যানবাহনের কারণে শহরের সব গুরুত্বপূর্ণ ও ব্যস্ততম এমনকি অন্যান্য সড়কেও দেখা দিয়েছে বিশৃঙ্খলা ও যানজট। দুর্ঘটনাও ঘটছে, পথচারীদের দুর্ভোগ চরমে। কর্তৃপক্ষ বলছে, সবার সহযোগিতা থাকলেই শহর যানজটমুক্ত ও সড়কে শৃঙ্খলা ফেরানো সম্ভব।

সরেজমিনে পঞ্চগড় শহরের চৌরঙ্গী মোড়, ধাক্কামারা গোল চত্তর, বানিয়াপট্টি-সিনেমাহল সড়কে দেখা যায়, মোড়ে মোড়ে এবং সড়কের ওপর যত্রতত্র ইজিবাইক, ব্যাটারিচালিত রিকশা, ভ্যান যাত্রী ওঠা-নামা করছে। ট্রাফিক আইনকানুনের তোয়াক্কা না করে সড়ক ও মোড়গুলোতে এলোমেলোভাবে ইজিবাইক, রিকশা, ভ্যান রাখা হয়েছে।

মোটরসাইকেল আরোহী ধাক্কামারা এলাকার রফিকুল ইসলাম ও নয়ন জানান, শহরে হাজার হাজার ইজিবাইক, ব্যাটারিচালিত রিকশাভ্যান এবং নছিমন, করিমন, ভটভটি চলাচল করছে।এতে সড়কে চলাচলে আমরা বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছি।

ট্রাক চালক বাবু জানান, পঞ্চগড়-টুনিরহাট সড়কটি সরু। তার ওপর দু’পাশে ইজিবাইক দাঁড়িয়ে থাকলে গাড়ি পার করার জায়গা থাকে না। এতে বড় যানজট সৃষ্টি হয়।

ইজিবাইক চালক সবুজ হোসেন জানান, আমরা শহরে আসতে টোল দেই। সে জন্য খরচ তুলতে যেখানে সেখানে দাঁড়িয়ে যাত্রী নেওয়ার চেষ্টা করি।

পথচারী গোয়াল পাড়া থেকে আসা আব্দুর রশিদ, তালমার মতিন, রবি মানিকসহ একাধিক ব্যক্তি বলছেন, অবৈধ পার্কিংয়ের কারণে সড়কে যানজট নিয়মিত হচ্ছে। তাদের দাবি সড়ক ও মোড়ে অবৈধ ইজিবাইকের পার্কিং বন্ধ ও চলাচল সীমিত করলে জনদুর্ভোগ কম হবে।

অ্যাডভোকেট রাহিদুল ইসলাম জানান, এখন টাকা থাকলেই ইজিবাইক, ব্যাটারি চালিত রিকশা, ভ্যান নিয়েই সড়কে নেমে পড়ছেন অনেকে। অথচ তারা সড়কের শৃঙ্খলা সম্পর্কে কিছুই জানেন না। তাদেরকে যদি ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়, তাহলেই সম্ভব যত্রতত্র পার্কিং বন্ধ সম্ভব।

পঞ্চগড় পুলিশ পরিদর্শক (শহর ও মোটরযান) মো.ফারুক হোসেন জানান, শহর যানজট মুক্ত করতে একটি কমিটি করা হয়েছে। সবার সহযোগিতা থাকলেই শহর যানজট মুক্ত করা সম্ভব হয়। এছাড়া শহরে কতগুলো অটোরিকশা, ভ্যান প্রবেশ করতে পারবে, সেটা পৌর কর্তৃপক্ষ নির্ধারণ করে দিলে আইন প্রয়োগ করতে সুবিধা হয়।

বিডি/সি/এমকে