নীরবতা নিয়ে নানা প্রশ্ন

নিজস্ব প্রতিবেদক
৩১ অক্টোবর ২০২৩

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার বেশি দিন বাকি নেই। নির্বাচন ঘিরে উত্তাপ ছড়ছে রাজপথে। তৎপর রয়েছে বিদেশি কুটনীতিকরা। এরই মধ্যে ২৮ অক্টোবর বিএনপির ডাক দেওয়া মহাসমাবেশের দিনে বড় ধরণের সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। এনিয়ে বিবৃতি দিয়েছে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের পাশাপাশি বিশ্বের ৭ দেশ। উদভূদত পরিস্থিতিতে দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি আনুষ্ঠানিকেভাবে বিদেশি কূটনীতিকদের অবহিত করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের ব্যাখ্যা কুটনীতিকরা কেবল শুনে গেছেন, আর দেখে গেছেন মন্ত্রণালয়ের দেখানো চিত্র। কিন্তু কোনো প্রশ্ন করেননি, কোনো প্রতিক্রিয়াও জানায়নি তারা। ‍তাদের নীরবতা অনেক প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে, এ নীরবতাকে রহস্যাবৃত বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বোদ্ধারা।  

প্রায় এক ঘণ্টা ধরে বিদেশি কুটনীতিকদের কাছে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিষয়ে সোমবার (৩০ অক্টোবর) ব্রিফিং করা হয়। এর আগে হঠাৎ করেই রোববার (২৯ অক্টোবর) রাতে তাদের ব্রিফিংয়ের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়।

বিফ্রিংয়ের সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, প্রধানমন্ত্রীর বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনসহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিতি ছিলেন।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম সাংবাদিকদের বলেন, বিফ্রিংয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার বক্তব্যে যা যা ঘটেছে, বিশেষ করে ২৮ অক্টোবর বিএনপি জামায়াতের বিভিন্ন সন্ত্রাসী হামলা, জ্বালাও-পোড়াও, প্রধান বিচারপতির বাসভবনে আক্রমণ এবং গেট ভেঙে ভেতরে ঢোকা, দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তা সদস্যদের যেভাবে মেরেছে, সেগুলো; বিভিন্ন ঘটনার ভিডিও ফুটেজ ছবি, যা সবার কাছে আছে, সেগুলো কূটনীতিকদের দেখানো হয়েছে।

 

তিনি বলেন, এ নিয়ে তাদের কোনও প্রশ্ন ছিল না, তারা প্রেজেন্টেশনের পরিপ্রেক্ষিতে কোনও প্রশ্ন করেননি। তারা শুনেছেন। তাদের লিখিতভাবে পুরো ঘটনা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন আলাদাভাবে এবং সাতটি দেশের যৌথ বিবৃতি দেওয়া প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সাতটি রাষ্ট্র মিলে যে বক্তব্য দিয়েছে, সেটা অতীতে দেওয়া বিবৃতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। ধারাবাহিকতার অভাব আছে। তারা যেন ধারাবাহিকতা বজায় রাখেন, বিষয়টি তাদের স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতেও  কিছু বলেননি তারা।

আইনমন্ত্রী বলেন, তাদের নীরবতা মানে তারা সব বিষয়ে একমত হয়েছেন এমন না। আবার এ নীরবতা মানে তারা আমাদের সঙ্গে একমত না, সেটাও না। উনাদের প্রশ্ন করার সুযোগ দেওয়া হলেও কোনও প্রশ্ন করেননি। তার মানে বুঝা যায়, যে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছেসেটি অন্ততপক্ষে পরিষ্কার হয়েছে। উনারা বিষয়টি মেনে নিয়েছেন বা নেননি, সেটা বলার দায়িত্ব উনাদের।

 

বিডি/সি/এমকে

 


মন্তব্য
জেলার খবর