গত অর্থবছরে (২০২২-২৩) সরকারের রাজস্ব আদায়ে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। রাজস্ব ও স্ট্যাম্প শুল্ক বাবদ মিলে ৩ লাখ ৮৩ হাজার ৮৭৮ দশমিক ৭০ কোটি টাকার বিপরীতে রাজস্ব আহরিত হয়েছে ৩ লাখ ৩৫ হাজার ৫৯৯ দশমিক শূন্য ৫ কোটি টাকা।
এদিকে দেশে বর্তমানে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পরিমাণ আগের তুলনায় কমলেও কোনো ঘাটতির পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি। আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলসহ বিভিন্ন পণ্যের দাম বেড়েছে। এতে আমদানি ব্যয় বৃদ্ধিসহ রেমিট্যান্সের পরিমাণ হ্রাস পেয়েছে।
মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্ন-উত্তরে এসব তথ্য জানান অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন, প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপন করা হয়।
সংসদকে জানানো অর্থমন্ত্রীর তথ্যানুযায়ী, গত অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রার ৮৭ দশমিক ৪২ শতাংশ রাজস্ব আদায় হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩ লাখ ৭০ হাজার কোটি। আহরিত রাজস্বের মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ৩ লাখ ৩১ হাজার ৫০২ দশমিকি শূন্য ৫ কোটি টাকা আদায় করে। আর অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ স্ট্যাম্প শুল্ক বাবদ ৪ হাজার ৯৭ কোটি টাকা আদায় হয়। চলতি অর্থবছরে অভ্যন্তরীণ সম্পদ হতে (জাতীয় রাজস্ব বোর্ড অংশ) ৪ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে বলেও জানান অর্থমন্ত্রী।
অর্থমন্ত্রী বলেন, গত ১২ অক্টোবর পযন্ত স্থিতির ভিত্তিতে দেশে বর্তমান গ্রস রিজার্ভ ২১ হাজার ১১৬ দশমিক ৫৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।করোনা পরবর্তী বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা এবং ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে আন্তর্জাতিক পণ্য সরবরাহের অনিশ্চয়তা সৃষ্ট দেশের বহির্খাতের চাপ মোকাবিলা করে রিজার্ভের সন্তোষজনক স্থিতি বজায় রাখতে কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। অর্থমন্ত্রী তার বক্তব্যে এসব পদক্ষেপগুলোর কথা জাতীয় সংসদে তুলে ধরেন।
বিডি/ই/এমকে