গুরুদাসপুরে পুলিশ পরিচয়ে মাছচাষীর কাছে চাঁদা দাবি!

গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি
০৬ নভেম্বর ২০২৩

নাটোরের গুরুদাসপুরে পুলিশ পরিচয়ে মুনসুর রহমান নামের এক মাছচাষীর কাছ থেকে ৪৩ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করা হয়েছে। চাঁদা না দিলে মারধর, গ্রেফতার পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে মাছ নিধনের হুমকি দেওয়া হয়েছে।

গুরুদাসপুর থানায় ভুক্তভোগীর করা চাঁদাবাজির এজাহার সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। সোমবার ( নভেম্বর) সকালে হওয়া এ মামলায় তিনজনকে আসামি করা হয়েছে।

আসামিরা হচ্ছেন- গুরুদাসপুর পৌর শহরের নম্বর ওয়ার্ডের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে মাসুদ রানা, উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়নের ঝাউপাড়া গ্রামের বাসিন্দা সুমন মোল্লা ও তার সালাম মোল্লা। ভুক্তভোগী মুনসুর রহমান ঝাউপাড়া গ্রামেরই বাসিন্দা।

ভুক্তভোগী মুনসুর রহমান বলেন, ঝাউপাড়ার মাসুদ রানা শামীম রেজার সাত বিঘার একটি পুকুর লিজ নিয়ে মাছ চাষ করছেন তিনি। পুকুরে বর্তমানে প্রায় ২০ লাখ টাকার মাছ রয়েছে। পুকুরটির সীমানা নিয়ে প্রতিবেশি সুমন মোল্লা সালাম মোল্লার সঙ্গে তার দ্বন্দ্ব চলছে।

তিনি জানান, গত শনিবার রাত ১২ টার দিকে পুকুরে পানি দিচ্ছিলেন তিনি। এ সময় মাসুদ রানাকে সঙ্গে নিয়ে পুকুরে আসেন সুমন সালাম। মাসুদ রানার পরিচয় পুলিশ বলে জানান। এ সময় অবৈধভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ নেওয়ার অপবাদ দিয়ে বৈদ্যুতিক তার খুলে নেন সুমন। একপর্যায়ে টাকা না দিলে গ্রেফতার এবং মারধরের হুমকি দেন। ভয়-ভীতি দেখান বিষ প্রয়োগ করে মাছ নিধনেরও। তারা ৪৩ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। তাৎক্ষণিক এতো টাকা জোগাড় করতে না পেরে পুলিশ পরিচয়দানকারি মাসুদকে ছয় হাজার টাকা দেন তিনি। বাকি টাকা রোববার দেওয়ার কথা ছিল। বাকি টাকা পেতে বারবার ফোন করে ভয়-ভীতি দেখান মাসুদ।

এদিকে পুকুরের মালিক শামীম রেজা বলেন, পুলিশ পরিচয় দেওয়া মাসুদ রানার মোবাইল ফোনে কল দিয়ে তিনি জানতে পারেন- মাসুদ পুলিশ সদস্য নন। পরে মাছচাষী মুনসুর রহমান বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন। অভিযুক্তরা মোবাইল ফোন বন্ধ রেখে গা ঢাকা দেওয়ায় তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মোনোয়ারুজ্জামান বলেন, অভিযুক্তদের গ্রেফতারে পুলিশ কাজ করছে।

 

বিডি/সাজেদুর রহমান সাজ্জাদ/সি/এমকে

 


মন্তব্য
জেলার খবর