বছর না ঘুরতেই চরভদ্রাসনে পদ্মার তীর রক্ষা বাঁধে ধ্বস

নাজমুল হাসান নিরব,ফরিদপুর প্রতিনিধি
০৭ নভেম্বর ২০২৩

ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে পদ্মা নদীতে প্রায় ২৯২ কোটি টাকা ব্যয়ে . কিলোমিটার তীর সংরক্ষণ বাঁধ ১০ কিলোমিটার ড্রেজিংয়ের কাজ শুরু হয় ২০১৯ সালে। তিনবছর পর ২০২২ সালের দিকে নির্মাণ কাজ শেষ হয়। কিন্তু বছর না ঘুরতেই উপজেলার সদর ইউনিয়নের টিলারচর গ্রামে পদ্মা নদীর তীর সংরক্ষণ বাঁধ এলাকায় প্রায় ৩০ মিটার এলাকা জুড়ে ধ্বস দেখা দিয়েছে। এতে উপজেলার পদ্মা রক্ষা বাঁধটি হুমকির মুখে রয়েছে। শনিবার ( নভেম্বর) বিকালে দেখা দেয় এ ধ্বস।

মঙ্গলবার ( নভেম্বর) এলাকাবাসী জানান, বাঁধের উপর দিয়ে ভারী পাইপ লাইনের মাধ্যমে বলগেইটের বালু লোড-আনলোড করা হয় নিয়মিত। নির্মাণের সময় কোন ত্রুটি থাকতে পারে। বিষয়টি তারা খতিয়ে দেখার দাবি জানান। বাঁধে ধ্বস দেখা দেওয়ায় তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দারা আবারও পদ্মা ভাঙ্গনের আতঙ্কে রয়েছেন বলে তারা জানান।

এদিকে উপজেলা চেয়ারম্যান মো. কাউছার, নির্বাহী অফিসার মো. মেহেদী মোর্শেদ, ভাইস চেয়ারম্যান মোতালেব হোসেন মোল্যা, ইউপি চেয়ারম্যান আজাদ খান, ফরিদপুর পাউবো উপসহকারি প্রকৌশলী আলতাফ হোসেন বাঁধ এলাকা পরিদর্শন করেছেন।

ফরিদপুর পাউবোর উপসহকারি প্রকৌশলী আলতাফ হোসেন জানান, ব্যবসায়ীরা দীর্ঘদিন ধরে বাঁধটির উপর দিয়ে ভারী পাইপ লাইনের মাধ্যমে বলগেইটের বালু লোড-আনলোড করে আসছে। এতে বাঁধের তলদেশের মাটি সরে গিয়ে প্রায় ৩০ মিটার এলাকা ধ্বসে গেছে। এছাড়াও ওই বাঁধ এলাকার বিভিন্ন পয়েন্টে ধ্বস দেখা দিয়েছে। তিনি আরও জানান, বালু ব্যাবসায়ীর ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপের বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবগত করা হয়েছে। আর পদ্মা নদীর পানি কমে সম্পূর্ণ তীর জেগে ওঠার পর বিধ্বস্ত বাঁধ মেরামত করা সম্ভব বলেও তিনি জানান।

 

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মেহেদী মোর্শেদ বলেন, ওই বাঁধের উপর দিয়ে বলগেইটে বালু আনলোড দ্রুত বন্ধ করার ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শীঘ্রই ধ্বসে যাওয়া বাঁধ এলাকা মেরামতের জন্য সব ধরনের ব্যাবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এছাড়া বাঁধ ধ্বসে যাওয়ার অন্য কোন কারণ আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে।

 

বিডি/সি/এমকে


মন্তব্য
জেলার খবর