রান্না কিংবা আচারে তেঁতুল বেশ মজাদার ও জনপ্রিয়। তবে মাত্রাতিরিক্ত খেয়ে ফেললে ভালোর থেকে খারাপই বেশি হতে পারে।
প্রাচীনকাল থেকে তেঁতুল তার ঔষধি গুণের জন্য অনন্য। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য, গলা ব্যথা, এমনকি সানস্ট্রোকের মতো স্বাস্থ্য সমস্যার চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত হয়। জেনে নিন আর কী কী উপকার রয়েছে এতে।
ওজন কমাতে সাহায্য করে এই টক ফলটি। বেশি ওজন হলে হৃদরোগ, কিডনি, লিভারের সমস্যা বেড়ে যায়। তেঁতুল খেলে শরীরের ভাল কোলেস্টেরল বৃদ্ধি পায়। অন্যদিকে, খারাপ কোলেস্টেরল কমে যায়। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, তেঁতুল শরীরের অতিরিক্ত চর্বি কাটাতেও সাহায্য করে। নিয়মিত তেঁতুল খেলে হজম শক্তি বৃদ্ধি পায়। এটি ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার। তাই আমাদের অন্ত্রের গতিবিধি সহজ করে। প্রাচীনকাল থেকে তেঁতুল কোষ্ঠকাঠিন্যর ঔষধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে ম্যালিক এবং টারটারিক অ্যাসিড রয়েছে। গবেষণায় দেখা গেছে, তেঁতুলের নির্যাস গ্রহণের ফলে লিভারের অক্সিডেটিভ স্ট্রেস হ্রাস পায়। এতে থাকা প্রোকিয়ানিডিনগুলো লিভারের ফ্রি র্যাডিকাল ক্ষতির বিরুদ্ধেও লড়াই করে। তেঁতুল খনিজ সমৃদ্ধ। যা শরীরে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে সহায়তা করে।
তেঁতুল রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। এটি উচ্চ ফাইবার সমৃদ্ধ। এটি শরীরের খারাপ কোলেস্টেরল বা এলডিএল হ্রাস করে। ফলে হার্টের স্বাস্থ্য ভাল রাখে। ত্বক উজ্জ্বলতা বাড়াতে তেঁতুল সাহায্যে করে। তাছাড়া তেঁতুল জন্ডিস রোগের জন্য বেশ উপকারী।
তেঁতুল খেলে কী ক্ষতি হয়?
তেঁতুল একটি স্বাস্থ্যকর ফল যার অনেক গুণ রয়েছে যা শরীরের জন্য খুবই উপকারী। তবে অতিরিক্ত নয়। বেশি তেঁতুল খেলে রক্তচাপ কমাতে পারে। অ্যালার্জি হতে পারে- যাদের অ্যালার্জির সমস্যা আছে। বেশি খেলে অ্যালার্জি হতে পারে। কিছু লোক ফুসকুড়ি, চুলকানি, ঘা, অজ্ঞান, বমি বা শ্বাস নিতে অসুবিধার মতো উপসর্গগুলি অনুভব করতে পারে। বেশি পরিমান তেঁতুল খেলে শরীরে রক্তপাত বৃদ্ধি করে। তেঁতুল গ্লুকোজের মাত্রা কমিয়ে দিতে পারে। বেশি তেঁতুল খেলে ওজন দ্রুত কমে যায়। তেঁতুলের মধ্যে টারটারিক এসিড থাকে, দাঁত ক্ষয় হয়।