মশায় অতিষ্ঠ পটুয়াখালীবাসী

১৬ মার্চ ২০২১

পটুয়াখালী সংবাদদাতা
মশার উপদ্রব বেড়েছে দক্ষিনাঞ্চলের জেলা পটুয়াখালীতে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে গিয়ে দাঁড়িয়েছে- মশার কামড় থেকে রেহাই পেতে কেবল রাতেই নয়, দিনের বেলাতেও মশারি ব্যবহার করতে হচ্ছে এই জেলার বাসিন্দাদের। বেশি দুর্ভোগে পড়েছে শিক্ষার্থীরা। কয়েক মাস আগে পৌরসভা মশা নিধনে ওষুধ ছিটালেও তাতে খুব একটা ফল পাচ্ছেন না স্থানীয়রা।

স্থানীয়রা বলেছেন, মশার লার্ভাগুলো যে সময় ধ্বংস করা দরকার ছিল, সে সময় কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি কর্তৃপক্ষ। পটুয়াখালী সরকারী কলেজের শিক্ষার্থীরা জানান, পড়ার টেবিলে ঠিকমতো পড়তে পারছেন না তারা। গরম শুরু হতে না হতেই মশার উপদ্রব শুরু হয়েছে প্রতিটি হোস্টেলে। কয়েল, স্প্রে, বৈদ্যুতিক ব্যাট কোনও কিছুই কাজে আসছে না।

পটুয়াখালীর সবুজবাগ ৭ম লেন বাসিন্দা মিজানুর রহমান বলেন,“আমি ভাড়া বাসায় থাকি। প্রতিদিন বিকালে অফিস শেষে বাসায় এসে কয়েল জ্বালিয়ে রাখতে হয়। এই বাসার পাশে পানি জমে থাকায় মশা এতো বৃদ্ধি পেয়েছে যে, সন্ধ্যার পর বারান্দায় দাঁড়ানোই মুশকিল। তার ওপর গত বছর চিকুনগুনিয়া ও ডেঙ্গু যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে, তাতে এই বছর আমরা বেশ আতঙ্কের মধ্যে রয়েছি। বাড়ীওয়ালাকে অনেকবার বলার পরও বাসার পাশের জলাবদ্ধতা দূর করেননি।” একই এলাকার ব্যবসায়ী জাকির হোসেন জানান, দিনের বেলায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও দোকানে কয়েল জ্বালিয়েও পরিত্রাণ মিলছে না। দিনের বেলায় তার নিজ ঘরে মশারি টানিয়ে রাখতে হয়। জেলার পুরান বাজার, সদর রোড, আরামবাগ এলাকার বাসিন্দারা একই কথা বলেছেন। তারা বলেন, দিন কিংবা রাত কখনই মশার হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছি না। অ্যারোসল, ইলেকট্রিক ব্যাট, কয়েলে কাজ হচ্ছে না। দুপুরের পর থেকে ঘরে মশার কয়েল জ্বালিয়ে রাখতে হচ্ছে। তাতেও ঠিকমতো মশা যায় না। পটুয়াখালী পৌরসভা থেকেও মশা নিধনে কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।

পটুয়াখালী পৌরসভার পরিচ্ছন্নতা শাখার একজন কর্মকর্তা বলেন, এখন মৌসুম পরিবর্তন হচ্ছে বলে মশা বাড়ছে। পৌরবাসী যদি নিজেরা সচেতন হয় এবং বাড়ির আঙিনা পরিচ্ছন্ন ও ড্রেনে ময়লা-আবর্জনা ফেলা থেকে বিরত থাকেন, তাহলে মশার উপদ্রব অনেকটা কমে আসবে।

এসবিএম/এমকে

 


মন্তব্য
জেলার খবর