দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের নিরপেক্ষতা কোনোভাবেই প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায় না নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ জন্য কারচুপি ঠেকাতে চায় তারা। কারচুপি যেন কোনোভাবেই না হয়, সে জন্য সংশ্লিষ্ট দায়িত্ব পালনকারী প্রশাসনের কর্তাব্যক্তি ও আইনশৃংখলা বাহিনীকে সতর্ক থাকার করা বলেছে ইসি।
শুক্রবার (১০ নভেম্বর) রাজধানী ঢাকায় নির্বাচন সংক্রান্ত এক উচ্চপর্যায়ের কর্মশালায় (প্রশিক্ষণ) সতর্ক থাকার বিষয়টি জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। কর্মশালায় বিভাগীয় কমিশনার, পুলিশ কমিশনার, উপমহাপুলিশ পরিদর্শক, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও জ্যেষ্ঠ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা অংশ নেন। নির্বাচন ব্যবস্থাপনা নিয়ে এ কর্মশালা হয়।
সিইসি বলেন, কেন্দ্রের ভেতরে যদি সিল মারা হতে থাকে, ছবি-ভিডিও হয়, তবে কেউ না কেউ ছবি তুলে ফেলবে। ভিডিও করে ফেলবে। আর এটা প্রচার হলে নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ হবে। ব্যর্থতা, অদক্ষতা প্রতিফলিত হবে আমাদের।
ডিসি ও পুলিশ সুপারদের মধ্যে সমন্বয় বজায় রাখার তাগিদ দিয়ে বলেন, সমন্বয় করে সুন্দরভাবে নির্বাচন তুলে আনার চেষ্টা করবেন। নির্বাচনের বিষয়ে প্রশাসনের কাছে ইসির মূল চাওয়ার কথাও তুলে ধরেন সিইসি। বলেন, ভোটারদের ভোটাধিকার প্রয়োগের স্বাধীনতা যেন ব্যাহত না হয়। ভোটাররা যেন নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারেন। এমনভাবে দায়িত্ব পালন করবেন, যাতে নির্বাচন সত্যিকার অর্থে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ হয়। এ চেষ্টা কীভাবে করবেন, সেটা জানি না। কারণ, ওই জ্ঞান আমার নেই, আপনাদের আছে। কাজী হাবিবুল আউয়াল জানান, রাষ্ট্রপতিও চেয়েছেন- নির্বাচন যেন সুশৃঙ্খল হয়। সুশৃঙ্খল ইসি করাতে পারবে না, আপনাদেরই করাতে হবে। দায়িত্ববোধ থেকে নির্বাচনের গুরুত্ব অনুধাবন করবেন। সুশৃঙ্খল নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনে ক্ষমতা ও শক্তি প্রয়োগ করবেন।
এ সময় নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আহসান হাবিব খান, রাশেদা সুলতানা, মো. আলমগীর ও আনিছুর রহমান, ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম উপস্থিত ছিলেন।
বিডি/সি/এমকে